Sudha Murthy opens up on husband Narayana Murthy's ‘70-hour’ work-week remark: দেশের বৃহত্তম আইটি কোম্পানি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মকে সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক। এখন, তাঁর স্ত্রী এবং ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুধা মূর্তি তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
যখন একজন মানুষ বড় স্বপ্ন দেখেন, তার পেছনে কেবল কঠোর পরিশ্রমই থাকে না! বরং থাকে ত্যাগ ও নিষ্ঠাও। ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির সাফল্যের পিছনেও রয়েছে এই সত্য। তাঁর স্ত্রী, লেখিকা এবং সমাজকর্মী সুধা মূর্তি, তাঁর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ত্যাগ করেছিলেন যাতে তাঁর স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। সম্প্রতি, ৭০ ঘন্টা সপ্তাহে কাজ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, সুধা মূর্তি তার নীরবতা ভেঙে তার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। তিনি কেবল তার সংগ্রামের গল্পই বলেননি বরং ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রকৃত সাফল্য কেবল কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক চিন্তাভাবনার মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
লেখিকা এবং সমাজকর্মী সুধা মূর্তি তার স্বামী এবং ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির ৭০ ঘন্টা কর্মসপ্তাহের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যখন কেউ তার কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তখন সময়ের চিন্তা তার মাথায় আসে না। তিনি স্মরণ করেছেন যে ইনফোসিসের প্রথম দিকের দিনগুলিতে, তার স্বামী নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টারও বেশি কাজ করতেন। সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় তার কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজ ইনফোসিস একটি সফল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, "ইনফোসিসকে সফল করার পিছনে কোন জাদু ছিল না। কেবল কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার মাধ্যমেই আজ সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে ইনফোসিস ।"
সুধা মূর্তি তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, তার স্বামীর দীর্ঘ পরিশ্রমের কারণে তাঁকে পারিবারিক জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। যদিও তা নিয়ে কখনও কোন অভিযোগ ছিল না তাঁর। সূধা মূর্তি বলেন, "আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অভিযোগ করার কোনও মানেই হয় না, কারণ তিনি সামনে অনেক বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।" তাঁর মতে, যখন কোনও ব্যক্তি তার কাজের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হন, তখন তার পরিবারেরও উচিত তাকে বোঝা এবং সমর্থন করা।
সুধা মূর্তি বলেন যে কেবল তার স্বামীই নন, ডাক্তার, সাংবাদিক এবং বিজ্ঞানীদের মতো অনেকেই তাদের কর্মজীবনে সাফল্য পেতে কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেককেই তাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে এবং সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। স্বামী যখন কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তখন নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য তিনি লেখালেখি শুরু করেছিলেন। সময়ের সদ্ব্যবহারও করতে শুরু করেন। সুপরিচিত লেখিকা এবং সমাজকর্মী সুধা মূর্তি বিশ্বাস করেন যে যখন মানুষ গুরুত্ব এবং আবেগের সাথে কিছু করতে চায় তখন কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না।