Sunita Williams Return: সুনিতাকে 'ওয়েলকাম' জানাতে প্রস্তুত তামাম বিশ্ব, জানুন কখন, কোথায় 'স্প্ল্যাশ ডাউন'?

Sunita Williams Return Updates: মহাকাশে ৯ মাস কাটানোর পর, উভয় মহাকাশচারী আগামীকাল ভোররাতে মহাকাশযান থেকে নেমে আসবেন। তবে, তারা প্রথম অবতরণ করবেন সমুদ্রে।

Sunita Williams Return Updates: মহাকাশে ৯ মাস কাটানোর পর, উভয় মহাকাশচারী আগামীকাল ভোররাতে মহাকাশযান থেকে নেমে আসবেন। তবে, তারা প্রথম অবতরণ করবেন সমুদ্রে।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
Sunita williams to return after 9 months how much nasa pays for overtime for astronauts

আট দিনের মিশনে গিয়ে ৯ মাস মহাকাশে, ওভারটাইম বাবদ কত টাকা পাবেন সুনিতা উইলিয়ামস?

Sunita Williams Return Updates: ১৯ মার্চ ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সুখবর পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন ১৪০ কোটি ভারতীয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ চেয়ে চলছে বিশেষ পুজো-পাঠ।  মহাকাশে ৯ মাস কাটানোর পর, উভয় মহাকাশচারী আগামীকাল ভোররাতে মহাকাশযান থেকে নেমে আসবেন। তবে, তারা প্রথম অবতরণ করবেন সমুদ্রে। সুনিতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর, নিক হেগ এবং রুশ মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফিরছেন। পৃথিবীতে ফিরে আসতে তাঁদের মোট ১৭ ঘন্টা সময় লাগবে।  

Advertisment

সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ৫ জুন, ২০২৪ তারিখে স্টারলাইনার রকেটে চেয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) উড়েছিলেন। সেখানে আট দিন কাটানোর পর তাদের ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু মহাকাশযানের কারিগরি ত্রুটির কারণে তাদের আর পৃথিবীতে ফেরা হয়নি।  

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন বিজ্ঞানী বিনোদ কুমার শ্রীবাস্তবের মতে, সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে বহনকারী ড্রাগনটি বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৩:২৭ মিনিটে অবতরণ করবে। তবে, এই অবতরণ সমুদ্রে হবে। নাসা জানিয়েছে যে ড্রাগন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সফলভাবে আনডক করা হয়েছে। সেখান থেকে এটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। ১৯ মার্চ ভারতীয় সময় ভোর ৩:২৭ মিনিটে আটলান্টিক মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করবে। 

বিনোদ কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর যে মহাকাশযানে ফিরে আসছেন, সেটি ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীতে প্রবেশ করবে। সেই সময় অনেক প্যারাসুট মহাকাশযানের গতি কমাতে শুরু করবে। এই ছোট প্যারাসুটগুলি সেন্সরের মাধ্যমে মহাকাশযানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। এর ফলে মহাকাশযানের গতি ঘণ্টায় মাত্র ৩২ কিলোমিটারে নেমে আসবে। আমেরিকার ফ্লোরিডা উপকূলের কাছে যখন মহাকাশযানটি সমুদ্রে অবতরণ করবে, তখন এর গতি প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ১০ মিটার হবে। এর অর্থ হল ৩২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিও এতটাই কমিয়ে আনা হবে যে অবতরণের সময় ক্যাপসুলটিতে যাতে এতটুকুও ঝাঁকুনি  না হয়। সমুদ্রে অবতরণকে স্প্ল্যাশ ডাউন বলা হয়।

Advertisment

বিনোদ কুমার শ্রীবাস্তবের মতে, যখন ড্রাগন মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে, তখন এর গতি শব্দের গতির চেয়ে ২২ গুণ বেশি হবে। যে মহাকাশযানটিতে করে মহাকাশচারীরা ফিরে আসছেন তাতে ছোট রকেটের মতো প্যারাসুট লাগানো আছে যা পৃথিবীতে অবতরণের সাথে সাথে একে একে খুলে যাবে। এগুলো খোলার পর, মহাকাশযাবের গতি কমে যাবে। অবশেষে বড় প্যারাসুটটি খুলে যাবে এবং সমুদ্রে সফল অবতরণ করবে। 
ভারতীয় সময় অনুসারে বুধবার ভোর ৩.২৭ মিনিটে এই মহাকাশযানটি ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করতে পারে। সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের প্রত্যাবর্তনের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।

sunita-williams