Apple তাদের "ক্যালিফোর্নিয়া স্ট্রিমিং" ইভেন্টে লঞ্চ করেছে নতুন অ্যাপল ওয়াচ। Apple Watch সিরিজ 7 একটি নতুন ডিজাইনের সঙ্গে বাজারে আনা হয়েছে। গত বছরের Apple Watch সিরিজ 6 এর তুলনায় একটি দুর্দান্ত আপগ্রেড সহ আনা হয়েছে। নতুন অ্যাপল ওয়াচে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপল দাবি করে যে Apple Watch সিরিজ 7 -এ Apple Watch সিরিজ 6-এর তুলনায় 20 শতাংশ বেশি স্ক্রিন এরিয়া অফার করে। যার মধ্য দিয়ে ইউজাররা আরও স্বচ্ছন্দে Apple Watch সিরিজ 7 ব্যাবহার করতে পারবেন।
Apple Watch সিরিজ 7 এর দাম এবং উপলব্ধতা
Apple Watch সিরিজ 7 জিপিএস শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৯৯ ডলারে (আনুমানিক ২৯,৪০০ টাকা) পাওয়া যাবে। অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ 7 জিপিএস + সেলুলার ওয়াচ ৪৯৯ ডলারে (প্রায় ৩৬,৮০০ টাকা) বিক্রি হবে। কোম্পানির নতুন ওয়াচ পাঁচটি নতুন রঙে লঞ্চ করেছে যার মধ্যে রয়েছে মিডনাইট, স্টারলাইট, গ্রিন এবং একটি নিউ ব্লু এবং রেড কালার। Apple Watch সিরিজ 7 এর ভারতীয় দাম এবং বিক্রি সম্পর্কে কোন আপডেট এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
Apple Watch সিরিজ 7 স্পেসিফিকেশন, ফিচার
Apple Watch সিরিজ 7, ‘41 মিমি এবং 45 মিমি’ কেস অপশনে আসে। অ্যাপল নতুন অ্যাপল ওয়াচে অলওয়েজ অন-রেটিনা ডিসপ্লে দিয়েছে যা আগের মডেলের অনুরূপ। অ্যাপল তার Watch সিরিজ 7 এর ডিসপ্লে 20 শতাংশ বেশি স্ক্রিন এরিয়া এবং পাতলা বর্ডরের সঙ্গে মাত্র 1.7 মিমি ডিজাইন করা হয়েছে। Apple দাবি করেছে যে Apple Watch Series 7 একটি বার চার্জ করলে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, Apple জানিয়েছে যে নতুন apple Watch 33 শতাংশ ফাস্ট চার্জিং অফার করে। Apple Watch সিরিজ 7 একটি বিল্ট-ইন ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর ব্যবহার করে রক্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SpO2) ট্র্যাকিং সুবিধা দেয়। এটি একটি ইলেক্ট্রিকল হার্ট রেট সেন্সর ব্যবহার করে হার্ট রেট ট্র্যাক করতেও সক্ষম।
এছাড়াও নতুন iPad বা iPad 9th জেনারেশন এই ইভেন্টে সামনে আনা হয়েছে।। এছাড়াও লঞ্চ করেছে iPad mini বা iPad mini 6 ডিভাইস। এই ডিভাইসগুলিতে রয়েছে বায়োনিক চিপ, ফাস্ট সিপিইউ ও জিপিইউ সহ একাধিক ফিচার। বলা হয়েছে যে এই ট্যাবলেটগুলি কাজ করবে অ্যান্ড্রয়েড মডেলগুলির চাইতে আরও তাড়াতাড়ি। সাপোর্ট করবে স্মার্ট কিবোর্ড ও ফাস্ট জেনারেশন অ্যাপেল পেন্সিল। আপনি যদি এই নতুন আইপ্যাড ও আইপ্যাড মিনি সম্পর্কে জানতে চান, তবে রইলো বিস্তারিত-
নতুন iPad এবং iPad Mini ডিভাইসের দাম-ভারতে নতুন iPad ডিভাইসের Wi-Fi অনলি মডেল পাওয়া যাবে 30,900 টাকায়। অন্যদিকে Wi-Fi +Cellular মডেল পাওয়া যাবে ৪২,৯০০ টাকায়। এই ডিভাইসের 64GB স্টোরেজ মডেল আসে স্পেস গ্রে ও সিলভার কালার অপশনে। অন্যদিকে নতুন iPad mini ডিভাইসের দাম ৪৬,৯০০ টাকা বিশেষত Wi-Fi অনলি মডেলের জন্য। Wi-Fi +Cellular মডেল পাওয়া যাবে ৬০,৯০০ টাকায়। এই iPad mini ডিভাইস পাওয়া যাবে 64GB ও 256GB স্টোরেজ অপশনে। কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে পিঙ্ক ,পার্পল, স্পেস গ্রে ও স্টারলাইট কালার।
আমেরিকাতে iPad-র দাম শুরু হচ্ছে $329 থেকে এবং iPad mini ডিভাইসের দাম শুরু হচ্ছে $499 থেকে। আমেরিকাতে এই ডিভাইসগুলির সেল শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে।
নতুন iPad ডিভাইসের স্পেসিফিকেশন
নতুন আইপ্যাডে রয়েছে 10.2 ইঞ্চি ডিসপ্লে । এই ডিভাইস আসবে True Tone সাপোর্টসমেত যা কালার টেম্পারেচরকে হাল্কা করতে সাহায্য করবে। নতুন আইপ্যাডে রয়েছে A13 বায়োনিক চিপ। এছাড়া রয়েছে Neural Engine সাপোর্ট। নতুন্ আইপ্যাডে রয়েছে 12MP আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এছাড়া রয়েছে পিছনের অংশে 8MP সেন্সর। নতুন আইপ্যাডে রয়েছে টাচ আইডি হোম বাটন আইপ্যাড সাপোর্ট করবে স্মার্ট কিবোর্ড ও ফাস্ট জেনারেশন অ্যাপল পেন্সিল। নতুন আইপ্যাড চলবে iPad OS সিস্টেমে। এই আইপ্যাড পাওয়া যাবে Wi-Fi অনলি ও Wi-Fi+4G কানেক্টিভিটি ভ্যারিয়েন্টে। ডিভাইসে থাকবে 20W ইউএসবি অ্যাডাপ্টর।
নতুন iPad mini স্পেসিফিকেশন
এই নতুন iPad mini ডিভাইসে রয়েছে 8.3 ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে সাইজ। নতুন মডেলে থাকবে A15 বায়োনিক চিপ। iPad mini ডিভাইসে থাকবে 12 MP আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা 122 ডিগ্রি ভিউ-সমেত। পিছনের অংশে থাকবে 12MP ক্যামেরা সেন্সর True Tone ফ্ল্যাশ সাপোর্টসমেত। এই ডিভাইস সাপোর্ট করে Smart HDR ও 4K পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডিং। আইপ্যাড মিনিতে রয়েছে স্টেরিও স্পিকারের সুবিধা। এছাড়া রয়েছে ওয়াইফাই, Bluetooth ও USB পোর্ট সাপোর্ট। এই ডিভাইসে পাওয়া যাবে ই- সিম সাপোর্ট Gigabit LTE ও 5G কানেক্টিভিটির সঙ্গে। আইফোন মিনি সাপোর্ট করে Apple Pencil ও স্মার্ট ফলিও কেস । এই ডিভাইস কাজ করে iPad OS 15 সিস্টেমে। এই ডিভাইসে রয়েছে 20W ফাস্ট চার্জের ফিচার USB-C অ্যাডাপ্টর সহ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন