করোনা আতঙ্কে গত প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ অফিস কাছাড়ি। চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। গুগল থেকে ফেসবুক- প্রত্যেক নামী সংস্থাই কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে এসেছে। বছর শেষে শোনা গিয়েছিল, নতুন করে কর্মস্থলে ফেরার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে এই কোম্পানিগুলিতে। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়াল ওমিক্রন। ওমিক্রন আতঙ্কে জেরবার বিশ্ব। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০টির বেশি দেশে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি। ফলে নতুন বছরে অফিসে এসে কাজ করাতে আপাতত না বলেছে, মেটা থেকে গুগল সহ একাধিক প্রথম সারির টেকজায়ান্ট সংস্থাগুলি। কিছুদিন আগেই মেটার তরফে জানানো হয়েছিল আগামী ৩১, জানুয়ারি থেকে খুলতে চলেছে অফিস। কিন্তু ওমিক্রন থাবা ভেস্তে দিয়েছে, সেই পরিকল্পনাকে। কী হবে তা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সংস্থা গুলি। মেটার তরফে জানানো হয়েছে, অফিস খুললেও কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দেবে সংস্থা। আগামী তিন থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন কর্মীরা। অফিস থেকে কাজ করার পাশাপাশি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অপশনও রাখছে সংস্থা গুলি। মেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, অতিমারী পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে এসে কাজ করার জন্য কোনও কর্মীকে জোর করা হবে না। তবে বাড়ি থেকে তাঁকে আগের মতই কাজের সময় সবসময় অ্যাকটিভ থাকতে হবে।
মেটার তরফে এমন সিদ্ধান্তের পরই, গুগল, অ্যাপেল, উবের-সহ বিভিন্ন কোম্পানি একই পথে হেঁটেছিল। গুগল জানিয়েছিল আগামী ১০ জানুয়ারি কর্মীদের অফিস যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে ই-মেল পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানুয়ারিতে নতুন করে অফিসের দরজা খুলে দেওয়ার কথা ছিল অ্যাপেলেরও। কিন্তু মার্কিন মুকুলে ওমিক্রন হানা দিতেই সিদ্ধান্তে বদল ঘটাতে চলেছে এই সংস্থাগুলি। শোনা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারির আগে অ্যাপেলের মতো কোম্পানি কর্মীদের অফিসে ফেরানোর পথে হাঁটবে না। এক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
একাধিক বার নিজের চরিত্র বদল করেছে করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেনে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকলেও তা আগের ডেল্টা প্রজাতির থেকে বেশি সংক্রামক। ফলে নতুন করে কলাপে ভাঁজ পড়েছে সকলের। আর সেই কারণেই কোন ঝুঁকি নিতে চাইছে না সংস্থাগুলি। Lyft-এর মতো কোম্পানি যেমন জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে তারা কর্মীদের আর অফিসে ফেরাবে না। সুতরাং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিন আপাতত এখনই শেষ হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন