Advertisment

নাম পাল্টে যাচ্ছে Facebook-এর! বড় খবরে জোর জল্পনা টেকদুনিয়ায়

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই সংস্থার নাম বদল করতে চলেছে বলে দাবি

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
Facebook

নাম পরিবর্তন হতে চলেছে ফেসবুকের! বড় খবরে জোর জল্পনা টেক দুনিয়ায়

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ফেসবুক এবার তাদের নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে । 'মেটাভার্স' নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে রিব্রান্ডিং এর জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। অক্টোবরের ২৮ তারিখে ফেসবুকের বার্ষিক কানেক্ট সম্মেলনে মার্ক জুকারবার্গ এই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন বলে ভক্স মিডিয়া পরিচালিত মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই সংস্থার নাম বদল করতে চলেছে বলে দাবি করা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তবে ফেসবুকের তরফে তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ভার্জ-এর এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে রয়টার্সও জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে সংস্থার বার্ষিক সভাতেই নাম পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই গুঞ্জনকে উড়িয়েই দিয়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা।

Advertisment

কয়েকদিন আগেই ফেসবুক দায়িত্বশীলভাবে 'মেটাভার্স' গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। মেটাভার্স হল ভার্চুয়াল জগত্‍। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অবতার তৈরি করতে পারবেন। তারাই অবতারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অবতারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে, অবতারও তাই করবে। অর্থাত্‍, মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগত্‍, যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিআর হেডসেট। কাজ করছে 'এআর গ্লাসেস' ও 'রিস্টব্যান্ড' প্রযুক্তি নিয়েও।

ফেসবুকের নতুন বিনিয়োগটি হবে 'এক্সআর কর্মসূচি' ও 'রিসার্চ ফান্ড'কে ঘিরে। দুই বছর জুড়ে বৈশ্বিকভাবে গোটা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে মেটভার্সের প্রযুক্তি 'ব্যাপকতা ও ক্ষমতায়নের পন্থায়' তৈরি। -জানিয়েছে ফেসবুক। এক প্রতিবেদন বলছে, গবেষকদের সঙ্গে ডেটা গোপনতা ও সুরক্ষাসহ চার খাতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। মেটাভার্সে ব্যবহারকারীরা অস্বস্তিকর অনুভব করছেন এমন কিছু দেখার পর যাতে সাহায্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এটি।

কিন্তু কেন নাম বদলানোর কথা ভাবছে ফেসবুক? আসলে সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে উত্থান হলেও ফেসবুকের কার্যকারিতা আর সেইটুকুর মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ নেই। নানা ধরনের পরিষেবার দিকে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম। তাই নাম বদলে এমন নাম নিতে চাইছে জুকারবার্গের সংস্থা, যা থেকে ফেসবুকের পরিবর্ধিত লক্ষ্যমাত্রার আভাস মেলে। যদিও কিছুদিন আগেই ফেসবুককে নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নতুন মেটাভার্স সংস্থা হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করেছিল মার্ক জুকেরবার্গ। এবার সেই জল্পনাই জোরালো হতে চলেছে দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুসারে।

আগামী বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলন। মনে করা হচ্ছে, ওই অনুষ্ঠানে মার্ক জুকারবার্গের বক্তৃতার মূল বিষয়ই হতে পারে নাম বদলের প্রসঙ্গটি। উল্লেখ্য, WhatsApp, ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মালিকানাও রয়েছে ফেসবুকের হাতেই। কিন্তু সংস্থার আগামী লক্ষ্য আরও অন্য রকম। সেখানে মেটাভার্স সংস্থা হিসাবে মেলে ধরার লক্ষমাত্রা নিয়েছে জুকেরবার্গ। দিন কয়েক আগে সেই ব্যাপারে নিজের মতামত ব্যাক্ত করেন তিনি।

সংস্থাকে আরও বিস্তৃত করতে এবার রে ব্যানের মতো সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এআর গ্লাস তৈরি করতে চাইছে ফেসবুক। জুকারবার্গের বিশ্বাস, এই মুহূর্তে অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ এই চশমা সেই অর্থে সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ঠিকমতো পদক্ষেপ করলে অচিরেই স্মার্টফোনের মতো এটিও সকলের হাতে হাতে ঘুরতে পারে একদিন। বলে রাখা ভাল, এই চশমা ভারচুয়াল রিয়েলিটি অর্থাৎ কল্পবাস্তবের মতোই এমন এক নিজস্ব সাইবার স্পেস তৈরি করে দেয় যা বাস্তবের অভিজ্ঞতাকে এক অন্য মাত্রা দিতে পারে।

এমনই নানা পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। যদিও ফেসবুকের তরফে এই গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্যই করতে চাওয়া হয়নি। তবু ‘দ্য ভার্জ’-এর দাবি, আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসবে। তবে নাম বদলে ফেসবুক নতুন কী নাম নেবে অথবা তাদের আগামী পরিকল্পনাগুলি ঠিক কী কী সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি বলেই জানাচ্ছে ওই সংবাদমাধ্যম।

এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রবেশযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি করা যায়, তা-ও গবেষণা করে দেখবে ফেসবুক। 'প্রতিযোগিতায় উত্‍সাহ' জোগাবে উন্নয়নশীল শিল্পেও। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরে নানাবিধ ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ রকম সমস্যার মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে কিশোর বয়সিদের ওপর সামাজিক মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের মতো বিষয়ও রয়েছে। ফেসবুকের নতুন মেটাভার্স তহবিলের প্রাথমিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ হংকং।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Facebook
Advertisment