বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে জলমগ্ন হতে পারে বিশ্বের ৯টি প্রধান শহর। ২০৩০ সালের মধ্যেই জলের তলায় থাকতে পারে এই শহরগুলি। IPCC-এর ২০২১ সালের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। যার মধ্যে রয়েছে প্রাণের শহর কলকাতাও। খবর সামনে আসতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে সকলের। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীতে ঘটে চলেছে একের পর এক নানান অঘটন, কখনও বন্যা, কখনও খরা অথবা দাবানলের মতো ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বেশ কয়েকটি প্রধান শহর জলমগ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই উঠে এসেছে মহানগরীর নাম। কলকাতা ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে একাধিক শহর।
এখন থেকেই সময় নষ্ট না করেই আমাদের শহরগুলিকে বাঁচাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। আমরা বন্য রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। সেজন্য ক্লাইমেট সেন্ট্রালের মতো প্রকল্পগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। পৃথিবী যতই দুষিত হচ্ছে এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন যত বাড়ছে ততই আমরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছি। ২০৩০ সালের প্রথম দিকে কোন কোন শহর প্লাবিত হতে পারে সে বিষয়ে ক্লাইমেট সেন্ট্রালের সাম্প্রতিক ম্যাপগুলিতে তার বিস্তৃত বিবরণ উল্লেখ করা আছে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবতার মুখোমুখি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। গ্লাসগোতে সাম্প্রতিক COP26 গ্লোবাল সামিটে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন আগামী প্রজন্মের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ সরাসরি প্রভাবিত না হলে সমস্যাটি বোঝা কঠিন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, তীব্র জলের ঘাটতি বা ভয়াবহ দাবানল ইত্যাদির মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
টাইমআউট, একটি লন্ডন-ভিত্তিক লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন সম্প্রতি ক্লাইমেট সেন্ট্রালের মানচিত্রের দেওয়া তথ্যকে তুলে এনে এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। যাতে বলা হয়েছে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জলের নীচে তলিয়ে যেতে পারে বিশ্বের ৯টি শহর। কারণ হিসাবে মূলত দায়ী করা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং বিশ্ব দূষণকে। টাইমআউটের রিপোর্টে বলে হয়েছে, আগামী দিনে কলকাতাতে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতা বর্ষার দিনে জলযন্ত্রণার শিকার। সেই সমস্যা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আগামী এক দশক সময়ের মধ্যেই। ২১০০ সালের মধ্যেই সৃষ্টি হবে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে এই রিপোর্টে এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও, এশিয়ার দুটি দেশ রয়েছে যেগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তালিকায় রয়েছে। সেগুলি হল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এবং ইরাকের বসরা। আমরা যদি COP26 আলোচনা পরিকল্পনা অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি তাহলে রক্ষা পেতে পারে এই ৯ টি শহর। নাহলে অচিরেই বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে।
কলকাতা ছাড়া বিপদের সম্মুখীন শহরগুলির তালিকা।
আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস
বসরা, ইরাক
নিউ অরলিন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভেনিস, ইতালি
হো-চি-মিন সিটি, ভিয়েতনাম
ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
জর্জটাউন, গায়ানা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন