ভারতে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপলব্ধ হয়েছে Windows 11। এবার থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন ইউজাররা। নতুন এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রিলিজ হয়েছিল Windows 10 PCs- এর ফ্রি আপগ্রেড হিসেবে। বিভিন্ন সংস্থা যেমন- আসুস, এসার, ডেল, এইচপি, লেনোভো-র আসন্ন নতুন Windows PC গুলোতে আগে থেকে লোড করা থাকবে Windows 11। একাধিক নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমে। জানা গিয়েছে, মাইক্রোসফটের লক্ষ্য হল ২০২২ সালের মধ্যে উপযুক্ত সমস্ত ধরনের PC বা ডিভাইসে মূলত উপযুক্ত Windows 10 ডিভাইসে দ্রুত Windows 11 আপগ্রেড করে দেওয়া। সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
কীভাবে আপনার PC তে Windows 11 ডাউনলোড করবেন-
আপনার এক্সিস্টিং PC অর্থাৎ যে ডিভাইস এতদিন কাজ করতেন সেটা Windows 11 আপডেটের জন্য উপযুক্ত কি না, সেটাই সবার আগে দেখে নিতে হবে। এই Windows 11 আপডেটের বিষয়টি আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার PC- র উইন্ডোজ আপডেট সেকশনে গিয়ে। এছাড়াও সুবিধার জন্য মাইক্রোসফটের PC হেলথ অ্যাপ ডাউনলোডও করে নিতে পারেন নিজের PC- তে। এর অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা দেখে নিতে পারবেন যে তাঁদের ডিভাইস আদৌ Windows 11 আপডেটের জন্য তৈরি কি না।
যদি আপনার PC Windows 11'র আপডেট নিতে সক্ষম হয় কিন্তু এখনও আপডেট না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি লেটেস্ট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম পাবেন মাইক্রোসফটের ইন্সটলেশন অ্যাসিসটেন্টের সাহায্যে। এই ইন্সটলেশন অ্যাসিসট্যান্টে গিয়ে কেবলমাত্র ‘ডাউনলোড নাউ’ বাটনে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পেয়ে যাবেন ইউজাররা। আর সেটা দেখেই সফলভাবে নিজের PC- তে Windows 11 আপডেট করতে পারবেন তাঁরা।
তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে আপগ্রেডের নোটিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অন্য একটা উপায় অবশ্য আছে। আপনাকে ডাউনলোডঃ করতে হবে Windows 11 ডাউনলোড (Download Assistant) অ্যাসিস্ট্যান্ট। আগের ভার্সনের মতোই এর ফিচার। এর মাধ্যমে ইচ্ছামতো সময়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
দেখতে যেমন আলাদা তেমন ফিচারের দিক থেকেই নতুন আঙ্গিক যোগ হয়েছে Windows 11-তে। বিশেষত, ইউজার ইন্টারফেসে বড়সড় বদল আনা হয়েছে। নতুন উইন্ডোজের টাস্কবার (Taskbar) এবং স্টার্ট মেনুও (start menu) হয়েছে অনেকটা আলাদা।
আরও বেশি নিরাপত্তা পান Windows 11 অপারেটিং সিস্টেমে-
উন্নত হার্ডওয়্যার-স্তরের সিস্টেম নিরাপত্তা- হার্ডওয়্যার স্তর থেকে শুরু হয় Windows 11'র নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি। আপডেটটি ইনস্টল করার জন্য কোম্পানির সুপারিশকৃত TPM 2.0 প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় চিপ লেবেল সিকিউরিটি ব্যবহার করে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ Windows 11 অপারেটিং সিস্টেম অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাধার পিছনে সংবেদনশীল তথ্য সঞ্চয় করে’। এর অর্থ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন এনক্রিপশন কি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাক্সেস থেকে সুরক্ষিত রাখে আপনার PC কে।
পাসওয়ার্ডবিহীন প্রমাণীকরণের সাপোর্ট- Windows 11 এবং সম্ভবত অন্যান্য পরবর্তী স্তরগুলিতে লগ ইন করার সময় পাসওয়ার্ডের প্রয়োজনীয়তা থাকছে না এবং এর পরিবর্তে বিকল্প প্রমাণীকরণ পদ্ধতি সরবরাহ করা হচ্ছে যা প্রতিলিপি করা যাবে না তা নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারীরা এবং তাদের ডেটা নিরাপদ।
ক্লাউড পরিষেবাগুলির সঙ্গে সংযোগস্থাপন- মাইক্রোসফট একটি পোস্টে লিখেছে, " Windows 11 নিরাপত্তা নীতি, নিয়ন্ত্রণ, পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিগুলিকে সক্ষম করে যা আপনার ডিভাইস, ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিচয়কে রক্ষা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করে।" স্টোরেজ এবং অ্যাক্সেস ম্যানেজমেন্ট" এবং পরিচিতির জন্য সংস্থা ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করবে ইউজারদের। আধুনিক ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (MDM) পরিষেবার মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারে যা ক্লাউডের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন এবং ডেটা অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণের জন্য কোম্পানির Azure Active Directory এর সঙ্গে কাজ করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন