New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/tiktok-app.jpg)
গুগল ও অ্যাপেল থেকে ডাউনলোড করার অপশন তুলে নিলেও টিকটক প্রেমীরা অ্যাপটি ব্যবহার করার পথ খুঁজে নিয়েছে।
আইনের ফাঁক গলে বহাল তবিয়তে ব্যবহার করা যাচ্ছে টিকটক অ্যাপ। গুগল ও অ্যাপেল থেকে ডাউনলোড করার অপশন তুলে নিলেও টিকটক প্রেমীরা অ্যাপটি ব্যবহার করার পথ ঠিক খুঁজে নিয়েছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মোদী সরকার গুগল ও অ্যাপেলকে টিকটক অ্যাপের ডাউনলোড বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। সরকারের নির্দেশকে সম্মান করতে একরাতের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় টেকের এই দুই জায়েন্ট সংস্থা।
উল্লেখ্য, ভারতের যে ১২০ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে, তারা ব্যবহার করতে পারবে টিকটক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন কোনো ইউজার আসতে পারবেন না টিকটক প্ল্যাটফর্মে। গবেষণা সংস্থা টেক আর্কের প্রধান ও চিফ বিশ্লেষক ফয়সাল কাওউসা বলেন, বাজারে রয়েছে শেয়ার ইট (SHAREit)অ্যাপ। যা দিয়ে সহজে যে কোনো অ্যাপলিকেশন দেওয়া নেওয়া করা সম্ভব। অনেকে মনে করছেন যাদের ফোনে রয়েছে টিকটক অ্যাপ তারা সহজে শেয়ার ইট (SHAREit)অ্যাপ ব্যবহার করে অন্যজনকে পাঠাতে পারবে। তারপর সে ইনস্টল করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: অশ্লীলতার দায়ে বন্ধ ‘টিকটক’ , সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ মোদী সরকারের
টিকটক অ্যাপের মালিকানায় রয়েছে চিনা’বাইটডান্স’ নামক এক কোম্পানি। যারা গানের সঙ্গে নেচে বা সংলাপে ঠোঁট নেড়ে অভিনয় করার মত অভিনব ভাবনা চিন্তা নিয়ে এসেছিল অ্যাপ দুনিয়ায়। বেশ কয়েকমাস ধরে টিকটক অ্যাপের দীর্ঘায়ু ভারতীয়রা কামনা করলেও, শেষ রক্ষা আর করা গেল না। ভারতে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে, তৈরি করা হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও এমনই কিছু অভিযোগ এনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করাতে তৎপর হয়ে উঠেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: টিকটক অ্যাপ বন্ধে ভেঙে পড়েছেন ভারতীয়রা, বলছে নেট দুনিয়ার ট্রোল
নিষেধাজ্ঞা আবেদন করার কারণ হিসাবে বলা হয় ভারতের সংস্কৃতির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আবেদনে বার বার বিষয়টিকে ‘বিপদজনক’ বলে তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচনী মাসে পরিস্থিতি যাতে আরও বিপদজনক না হয় সেকারণে ‘টিকটক’ ডাউনলোড বন্ধ করে দেওয়া হল ভারতে।
টিকটক সংস্থা জানিয়েছে,”আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস রাখি এবং আমরা আশাবাদী যে ভারতে ১২০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি অন্যকোনো ভুল পথে ব্যবহার করবে না। যারা এখনও টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করছে তারা তাদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরবে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলি ধরে রাখার জন্য টিকটক ব্যবহার চালিয়ে যাবেন, অপসংস্কৃতি ছড়াবে না। উল্লেখ্য, আর ডাউনলোড করা যাবে না। তবে যাদের কাছে আগে থেকেই টিকটক অ্যাপ আছে তারা আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন।