টুইটারের বিষয়বস্তু নিয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, তা মানতে চাইছে না মার্কিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা টুইটার। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। সরকারি নির্দেশ না-মানলে ফৌজদারি আইন টুইটারের কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে। এমনই হুমকি দিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
তারপরও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের এই ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে হাঁটতে চায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি। সেজন্য আইনের দ্বারস্থ হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি। এনিয়ে অবশ্য মঙ্গলবার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তারা। এর আগে গত মাসেই টুইটারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। তার পর কন্টেন্টের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে মার্কিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি। সরকারের আইনি পদক্ষেপের পালটা টুইটারের যুক্তি এটা একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কি সংস্থা মাত্র। এখানে যারা পোস্ট করে, তারা নিজেদের বক্তব্য পোস্ট করে। তাই কোনও নোটিস পাঠাতে হলে, সরকারের উচিত সেই সব ব্যক্তিদের নোটিস পাঠানো কিন্তু, সেটা করা হয়নি।
একইসঙ্গে টুইটার জানায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পোস্ট ব্লক করা বাক স্বাধীনতা হরণের শামিল। সেই কারণে, তারা এটা করতে পারবে না। এর আগে গত বছরের গোড়ার দিকেও টুইটারকে বেশ কিছু পোস্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। কিন্তু, সেই সময়ও টুইটার তা মানতে অস্বীকার করে। সেই সময় কৃষক আন্দোলন চলছিল। কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ করেছিল, টুইটারের মাধ্যমে দেশে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ করেছিল, টুইটার স্থানীয় আইন মানছে না।
আরও পড়ুন- দরিদ্র মুসলিমদের কাছে টানতে বিশেষ পরিকল্পনা বিজেপির, শঙ্কায় বিরোধীরা
টুইটার পালটা জানিয়ে দেয় যে এটা তাদের নীতি না। তা নিয়ে সরকারের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বেশ কিছু কড়া বিধানের ব্যবস্থা করেছে। তার মধ্যে একটি হল, সরকারের কমিটির দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ। সেক্ষেত্রে কোনও আবেদনও গ্রাহ্য হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। কারণ, বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
Read story in English