বিমানে চড়া মানেই ফ্লাইট মোডে ফোন। ওড়ার মজা থাকলেও, মাথায় থাকে কাজের চাপ, বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের তাগিদ, ইচ্ছে থাকলেও চট করে ফোন করার উপায় ছিল না এতদিন। একই সমস্যা রয়েছে জাহাজে যাত্রাকালীন। তবে সেই সমস্যায় ইতি টানতে চলেছে ভারতের টেলিকম বিভাগ।
সম্প্রতি চালু করা নিয়মাবলী অনুযায়ী, এবার থেকে বিমানে ফোন করা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। ভারতীয় ও বৈদেশিক এয়ারলাইনস সহ বিমান শিপিং কোম্পানি অপারেট করবে এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা। যা বিমানে ওড়া বা সমুদ্রে যাত্রা করার সময় প্রয়োজনীয় ডেটা সার্ভিস দেবে। অবশ্যই, ভারতীয় টেলিকম লাইসেন্স হোল্ডারকেই এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে।
১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৮ এর নির্দেশিকার নাম 'ফ্লাইট ও ম্যারিটাইম কানেকটিভিটি'। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে একই পদ্ধতিতে প্রেরণ করা হবে ইন ফ্লাইট এবং ম্যারিটাইম কানেক্টিভিটি (আইএফএমসি) টেলিকম নেটওয়ার্ক। মহাকাশ বিভাগের পরামর্শ নিয়ে দেশী ও বিদেশী স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতের বৈধ টেলিকম লাইসেন্সধারী দ্বারা সরবরাহ করা হবে পরিষেবা। কাজেই, ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে বাধা হবে না ফ্লাইট মোড।
আরও পড়ুন: ‘পোর্টিং’এখন আরও সহজ ও গতিশীল, সময় লাগবে ২ দিন
আইএফএমসি প্রদানের জন্য স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। স্যাটেলাইট গেটওয়ে আর্থ স্টেশনের মাধ্যমে পাঠানো হবে টেলিগ্রাফ বার্তা। যা সংযুক্ত থাকবে দেশের বিভিন্ন জায়গার দীর্ঘ দূরত্বের সঙ্গে। যাদের কাছে আইএসপি লাইসেন্স থাকবে, তারাই কেবল এই পরিষেবা দিতে পারবে।
স্থলজনিত মোবাইল নেটওয়ার্কগুলির জন্য যাতে সমস্যা না হয়, সেকারণে প্রায় ৩০০০ মিটার সর্বনিম্ন উচ্চতা দিয়ে যাবে এই বিশেষ নেটওয়ার্ক পরিষেবা। আইএফএমসি লাইসেন্সের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। পারমিট ধারককে লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম চার্জ দিতে হবে।
Read the full story in English