মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও সোমবার জানিয়েছেন, টিকটক সহ একাধিক চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নিশ্চিতভাবে পর্যালোচনা শুরু করেছে আমেরিকা।
ফক্স নিউজের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, "(মার্কিন রাষ্ট্রপতি) ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা টিকিটক ব্যবহারকারীদের তথ্য পরিচালনার বিষয়ে জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, "চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ওদেশের আইন মেনে স্থানীয় গোয়েন্দাদের কাজে সহযোগিতা করে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়। সেই আশঙ্কাতেই চিনা অ্যাপ বন্ধ করা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ফেসবুকে হোয়াটসঅ্যাপের বাজার কাড়তে ভারতীয় সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এলিমেন্টস’
বর্তমানে টিকটক চিনে উপলব্ধ নয়, এবং এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী ইউজারদের কাছে প্রচার করছে যে তাদের শিকড় চিনে নেই, সেদেশ থেকে তারা দূরে সরে আসার চেষ্টা করছে। কাজেই, তারা যে স্বাধীনচেতা সংস্থা, তাদের কাজে চিনের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই, সে বিষয়ে জোর দিচ্ছে তারা।
করোনাভাইরাস অতিমারীর সময়কালে পম্পেওর এই মন্তব্য মার্কিন-চিন সম্পর্কে অশান্তির আঁচ বহন করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন সিদ্ধান্ত চিনের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে হংকংয়ে চিনের দমন নীতি এবং আমেরিকা ও চিনের মধ্যে প্রায় দুই বছরের বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও উস্কে দিতে পারে এই সিদ্ধান্ত, এমনটাও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পরে চিনা সংস্থা বাইটডান্সের মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপ টিকটক সহ ৫৮ টি চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে চিনের অধীনস্থ আংশিক-স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র-শহর হংকংয়ের জন্য একটি নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রতিষ্ঠার পরে, টিকটককে কয়েক দিনের মধ্যে হংকংয়ের বাজার থেকেও মুছে ফেলা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Read the full story in English