Pegasus spyware India: পেগাসাস একধরনের স্পাইওয়্যার। মুলত হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে পাঠানো একটি লিঙ্কের সাহায্যে পেগাসাসকে ডিভাইসে প্রবেশ করানো হয়। পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে হাতিয়ার করে আড়ি পাতা হয়েছে ১৮০ জন সাংবাদিকের ফোন, এছাড়াও বিশ্বে প্রায় ৫০,০০০ ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে গতকাল এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র “দ্য গার্ডিয়ান”। ইতালীয় এক সংস্থা দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার এক ধরনের ম্যালওয়্যার। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির ফোন, ল্যাপটপে থাকা যাবতীয় সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যে কোনও আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড থেকে মেসেজ, ফটো, ইমেল, কল রেকর্ড, চ্যাট হাতিয়ে নিতে পারে এই পেগাসাস। শুধু তাই নয়, এটি গোপনে চালু করে দিতে পারে ফোনের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা।
কেন ব্যবহার করা হয় পেগাসাস?
ইজরায়েলিয় সংস্থা এনএসও-র(NSO) দাবি, মুলত জঙ্গি কার্যকলাপ-সহ একাধিক অপরাধমুলক কাজকর্মের উপর নজরদারি চালাতে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়। এটি মুলত সরকারী উদ্যোগে ব্যবহার করা হয়। “দ্য গার্ডিয়ান”-এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও (NSO) ৪০টিরও বেশি দেশের সরকারকে এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে। যে সকল ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে তার মধ্যে প্রথম দশের তালিকায় রয়েছে ভারতও। ভারতে যে ১৩টি আইফোন পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে ৯টি ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ মেলে। ৭টির মধ্যে স্পাইওয়্যারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন পেগাসাসের নজরে ভারতের ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ৩ বিরোধী নেতা সহ একাধিক সাংবাদিক-ব্যবসায়ী
অপর দিকে আরেক নিউজ ওয়েবসাইট The Wire দাবি করেছে, ২০১৮-২০১৯ এই এক বছরের মধ্যে ভারতে প্রায়, ৩০০জনেরও বেশি ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক রয়েছেন এই তালিকায়। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাথে যুক্ত আইনজীবীদের ফোনেও পেগাসাস প্রবেশ করানো হয় বলে The Wire উল্লেখ করেছে।
কীভাবে প্রবেশ করানো হয় পেগাসাস?
রিপোর্টে জানা গেছে, মুলত হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে পাঠানো একটি লিঙ্কের সাহায্যে পেগাসাসকে ডিভাইসে প্রবেশ করানো হয়। শুধুমাত্র যে স্মার্টফোন তাই নয়, এই স্পাইওয়্যার অনেক ল্যাপটপেও তথ্য জানতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপরাধমুলক কাজের উপর নজরদারি করতে যে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করার কথা, সেটি কেন একধিক সাংবাদিক, আইনজীবীর ফোনে পাঠানো হয়েছে সেই বিতর্কও কিন্তু জোরালো হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন