সম্প্রতি নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করেছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলাও। কয়েক কোটি কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারীরা এই অ্যাপ ছেড়ে টেলিগ্রামের মত অ্যাপগুলি ব্যবহার করা শুরু করেছিল। এই সব পরিস্থিতি বিচার করে পিছু হঠতে বাধ্য হল ফেসবুকের মালিকানাধীন এই সংস্থা৷ হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানান হয়েছে এখনই লাগু হবে না এই নিয়ম। আপাতত তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ফোনে যা যা হচ্ছে ভার্চুয়ালি সেই সব দিকেই নজর রাখছে। পিটিশনার চৈতন্য রোহিলা, নিজে নিজে একজন আইনজীবী, তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন এই মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ের যে আইন তা ভঙ্গ করছে। গোপনীয়তাকে সুপ্রিম কোর্ট মৌলিক অধিকার হিসেবেই দেখে। এর আগে সংস্থার তরফে জানান হয় যে নয়া প্রাইভেসি পলিসি ফেব্রুয়ারীর ৮ তারিখ থেকে কার্যকর হবে৷ যদিও বলা হয় হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেটে ফেসবুকের সঙ্গে কোনও তথ্য শেয়ার করবেন না তারা।
জনপ্রিয় এই সংস্থার তরফে ঠিক কী জানান হয়েছে?
"আমরা বহু মানুষের থেকে শুনছি হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেট নিয়ে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। বহু ভুয়ো তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে, যা চিন্তার। আমরা সবাইকে সাহায্য করতে চাই এই নয়া নীতির বিষয়ে। খুব সাধারণ ধারণা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি হয়েছে। বন্ধু ও পরিবারের মধ্যে যে কথা হবে তা যেন গোপন থাকে, নিজেদের মধ্যে থাকে। এর অর্থ হল আমরা সব সময় এই নীতি মেনেই চলব (end to end encryption)। ফেসবুক তো দূর, হোয়াটসঅ্যাপও এই বার্তালাপ জানবে না। সেই কারণেই কোনও লগ রাখে না সংস্থা। এমনকী লোকেশন শেয়ার করলেও তা হোয়াটসঅ্যাপ জানতে পারে না। হোয়াটসঅ্যাপের কন্টাক্ট ফেসবুকের সঙ্গেও শেয়ার করা হয় না।"
সংস্থার তরফে দাবি করা হয় যে নতুন আপডেট হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য। তবে সেই তথ্যও ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা৷ যদিও পরিস্থিতি বিচার করে আপাতত ফেব্রুয়ারীর ৮ তারিখ আপডেট নিয়ে আসা হচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ভ্রান্ত ধারণা দূর করে তবেই বাজারে নয়া আপডেট আনবে তাঁরা এমনটাই জানান হয়৷
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন