অপব্যাবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ হোয়াটসঅ্যাপের। ২০ লক্ষ ভারতীয় অ্যাকাউন্ট বাতিল করার ঘোষণা করলো হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ১৫ মে থেকে ১৫ জুন এই এক মাসের মধ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এই এক মাসে মোট ৩৪৫ টি অভিযোগ জমা পরে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে। যার মধ্যে ৬৩ টি ক্ষেত্রে তারা পদক্ষেপ করেছে।
নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন কার্যকর হওয়ায় পর থেকেই ফেসবুক (Facebook), হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), টুইটারের (Twiter) মতো সোশাল সাইটের সঙ্গে কেন্দ্রের অনবরত মতবিরোধ চলছে। কেন্দ্রের বক্তব্য জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি সবার প্রথমে রেখে এদেশে ব্যবসা করতে হবে। না হলেই সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। প্রথমদিকে বিষয়টিকে সেভাবে পাত্তা না দিলেও পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের চাপের মুখে সোশাল সাইটগুলি মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়।
নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুসারে ৫০ লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছেন এমন সোশাল সাইটগুলিকে প্রতি মাসেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পেশ করতে হবে, তাতে বলা থাকবে মোট কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং কতগুলি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিকারক বা স্বয়ংক্রিয় অনুমোদিত বাল্ক মেসেজ থেকে অ্যাকাউন্ট গুলিকে সুরক্ষা দেওয়াই হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান লক্ষ্য।
সংস্থার বয়ান অনুসারে ২০১৯ সাল থেকেই এই ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। গ্রাহক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অশালীন মেসেজ বা আপত্তিকর যে কোনওরকম পোস্ট থেকে গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ সবরকম ব্যাবস্থা নিয়েছে।
কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যাবহার করে কোনওরকম আপত্তিকর পোস্ট, ছবি, মন্তব্য শেয়ার করতে না পারে তার জন্য কেন্দ্রের এই নতুন আইন। আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামাজিক মাধ্যমকে ব্যাবহার করে কোনরকম আপত্তিকর পোস্ট, ছবি, মন্তব্য শেয়ার করলে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়া আইন মেনে ফেসবুক (Facebook), গুগল (Google) , টুইটার (Twiter) ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন