কলকাতার দূষণ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি লাল দাগ। বিপজ্জনক সীমারেখা পেরিয়ে শহরের দূষণ এখন সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিনিয়ত নিশ্বাস-প্রশ্বাস ব্যহত হচ্ছে নগরবাসীর। ব্যস্ত এলাকাগুলোতে তো বটেই, এমনকি শহরতলির গাছে ঢাকা জায়গাতেও দূষণের মাত্রা মাঝেমধ্যে ছুঁয়ে ফেলছে বিপদসীমা। কলকাতার রাস্তায় চলাফেরা করা কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে ঘোরার শামিল, বলছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতি থেকে আমজনতাকে বাঁচাতে শাওমি নিয়ে এসেছে অ্যান্টি পলিউশন মাস্ক, যা দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে বলে দাবি চীনের এই সংস্থার।
বছর শুরুতেই এই গেজেটের কথা ঘোষণা করেছে শাওমি। একটা প্যাকেটে দুটো করে মাক্স থাকার কথাও জানিয়েছে। তবে অফলাইন এখনই পাওয়া যাবে না। একমাত্র শাওমির অনলাইন স্টোরেই এই মাস্কটি কিনতে পাওয়া যাবে বলে ওই সংস্থার তরফে খবর। যার দাম ২৪৯ টাকা।
বাতাসে অস্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে মারাত্মক পরিমাণে দূষণকণা, যা চোখে দেখা সম্ভব নয়, যা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে আমাদের ফুসফুসে পৌঁছে যায়। শাওমির অ্যান্টি পলিউশন মাস্কটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন বলে দাবী করছে কোম্পানি। মাস্কটির পোশাকি নাম Mi AirPOP PM2.5। এই মাস্কটি ০.৩ মাইক্রনের আকারের কণাকে আপনার নাক অবধি পৌছাতে বাঁধা দেবে। শাওমির দাবি, প্রায় ৯৯.৯৭ শতাংশ দূষণকণা আটকাতে পারবে Mi AirPOP PM2.5।
চার স্তরে ফিল্টার করে তবে বাতাস পৌঁছবে আপনার কাছে। খুবই হালকা মাস্কটি। মূলত কালো রঙেই পাওয়া যাবে। ঠান্ডা, ধুলোর ঝড়, বায়ুঘটিত রোগ, ফ্লু থেকে বাঁচাতে সক্ষম শাওমির অ্যান্টি পলিউশন মাস্কটি বলে দাবী। কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের দূষণ রোধ করার মাস্ক তিন ধাপের পরীক্ষা পার করেছে। চীনের লেভেল বি ফিল্টারিং মান সহ জার্মান ইনস্টিটিউটের ত্বক বান্ধব পরীক্ষা পাশ করেছে। এছাড়াও দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে এই মাস্কটি পরে।