/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/youtube-vs-instagram-earnings-per-10000-views-comparison-2025-10-27-10-12-43.jpg)
ইউটিউব নাকি ইনস্টাগ্রাম কোন প্ল্যাটফর্মে বেশি আয়?
YouTube vs Instagram: আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা এবং তাদের ভাইরাল ভিডিও এই শিল্পকে বহু বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত করেছে। তবে অনেকেরই প্রশ্ন ইউটিউব না ইনস্টাগ্রাম, কোন প্ল্যাটফর্মে দ্রুত এবং বেশি আয় করা সম্ভব?
আরও পড়ুন- চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই ১০০% চার্জ, বিশ্বের সেরা ৫ ফাস্ট চার্জিং স্মার্টফোন কোনগুলি?
ইউটিউব থেকে আয়ের নিয়ম
ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস হিসেবে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমেই এখানে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে হলে চ্যানেলে অন্তত ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণ হলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থেকে আয় শুরু হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউব প্রতি ১০,০০০ ভিউয়ের জন্য গড়ে ১ থেকে ৫ ডলার (প্রায় ৮০ থেকে ৪০০ টাকা) পর্যন্ত প্রদান করে। তবে আয়ের পরিমাণ ভিডিওর ধরন, দর্শকদের অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। সাধারণত প্রযুক্তি, শিক্ষা ও অর্থনীতি বিষয়ক ভিডিওতে আয়ের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
আরও পড়ুন-টাকা ডাউন পেমেন্ট পেয়ে যান দুর্দান্ত এই বাইক, ৭০০ কিলোমিটারের অনবদ্য মাইলেজ
ইনস্টাগ্রামে আয়ের পথ
অন্যদিকে, ইনস্টাগ্রামে আয়ের ধরন কিছুটা আলাদা। এখানে সরাসরি ভিউয়ের ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করা হয় না। বরং ইনস্টাগ্রামের প্রধান আয় আসে ব্র্যান্ড প্রোমোশন, স্পনসরড পোস্ট এবং রিলস বোনাস প্রোগ্রাম থেকে। তবে এই বোনাস প্রোগ্রাম সব দেশে উপলব্ধ নয়। ভারতে বেশিরভাগ ইনফ্লুয়েন্সার বা ক্রিয়েটর স্পনসরড কন্টেন্ট ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করেন।
তবে জনপ্রিয় অ্যাকাউন্ট থাকলে ইনস্টাগ্রামে একটি স্পনসরড পোস্ট বা রিল থেকেও হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। অর্থাৎ সরাসরি ভিউ থেকে আয় না হলেও ব্র্যান্ড ডিলের মাধ্যমে বড় উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন-উৎসবের সময় বাইক কিনতে চান? দেখুন সেরা কোনটি!
দ্রুত আয় কোথায় সম্ভব?
দ্রুত আয়ের ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম কিছুটা এগিয়ে। কারণ এখানে অ্যাডসেন্সের মতো শর্ত নেই। যদি আপনার রিল ভাইরাল হয়, তাহলে অল্প সময়েই ব্র্যান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব। অন্যদিকে, ইউটিউবে আয় শুরু করতে নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।
কোন প্ল্যাটফর্ম বেশি লাভজনক?
১০,০০০ ভিউয়ের হিসাবে সরাসরি আয়ের দিক থেকে ইউটিউব বেশি লাভজনক, কারণ ইনস্টাগ্রাম ভিউ অনুযায়ী টাকা দেয় না। তবে দীর্ঘমেয়াদে যদি আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং নিয়মিত ব্র্যান্ড ডিল পান, তাহলে ইনস্টাগ্রাম থেকেও ইউটিউবের তুলনায় অনেক বেশি আয় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন-শীতকালে রেফ্রিজারেটর এই ভাবে চালান! প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সঙ্গে বাড়বে ফ্রিজের আয়ুও
অতএব, ভিউ-ভিত্তিক আয়ের জন্য ইউটিউব এবং দ্রুত জনপ্রিয়তা ও ব্র্যান্ড আয়ের জন্য ইনস্টাগ্রাম—দুই প্ল্যাটফর্মই আলাদা সুবিধা দেয়, নির্ভর করে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কৌশল ও লক্ষ্য অনুযায়ী।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us