YouTuber Ankush Bahuguna's scary 40-hour-long digital arrest: ভয়ঙ্কর সাইবার প্রতারণার খপ্পরে ইউটিউবার অঙ্কুশ বহুগুনা। ৪০ ঘন্টা ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট। নিজেকে স্ক্যাম থেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?
ইউটিউবার অঙ্কুশ বহুগুনা সম্প্রতি ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার। ইনস্টাগ্রামে তিনি তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়ার তথ্য শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি তিনি মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন করেছেন।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট বর্তমানে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। মোদী সরকার এই ধরণের সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে। এর মাঝেই ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের শিকার ইউটিউবার অঙ্কুশ বহুগুনা। ৪০ ঘন্টা ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হন তিনি। পাশাপাশি প্রতারকরা তার থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকাও। ইনস্টাগ্রামে তিনি তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শেয়ার করার সময়, জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে কল করে প্রতারকরা তাদের ফাঁদে ফেলেছিল জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে। এক বন্ধুর সাহায্যে তিনি ডিজিটাল অ্যারেস্টের জাল থেকে থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
অঙ্কুশ জানিয়েছেন, তিনি একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে একটি কল পান। কল রিসিভের সঙ্গে সঙ্গে তাকে বলা হয় তার কুরিয়ার ডেলিভারি বাতিল করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য শূন্য টিপুন। তিনি শূন্য টেপার সঙ্গে সঙ্গেই তার কল প্রতারকের সাথে সংযুক্ত হয়। প্রতারকরা দাবি করেছিলেন যে তার নামে পাঠানো অবৈধ কুরিয়ার কাস্টমস আটক করেছে। এই কুরিয়ারের সাথে তার আধার এবং ব্যক্তিগত তথ্য যুক্ত করা হয়েছে। এর পর প্রতারক অঙ্কুশকে 'ডিজিটালি অ্যারেস্ট' করেন।
গুরুতর অভিযোগ অঙ্কুশের বিরুদ্ধে
স্ক্যামার অঙ্কুশকে আর্থিক তছরূপ এবং মাদক চোরাচালান সহ একাধিক মামলায় যুক্ত করার হুমকি দেন। এর পরে প্রতারক ভিডিও কলে নিজেকে একজন পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দেন। ৪০ ঘন্টা ধরে চলে হয়রানি। এর পরে এক বন্ধু অঙ্কুশের সাথে যোগাযোগ করেন, তারপর তিনি এই কেলেঙ্কারীর কথা জানতে পারেন।
জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন
তার অগ্নিপরীক্ষার বর্ণনা দিয়ে, অঙ্কুশ বলেছিলেন যে তিনি ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পড়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পাশাপাশি মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তিনি তাদের চারপাশে এই বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেছেন।
কিভাবে ডিজিটাল গ্রেফতার এড়ানো যায়
সরকারি কর্মকর্তা বা পুলিশ পরিচয়ে কেউ ফোন করলে প্রথমে তার পরিচয় যাচাই করুন।
অজানা কাউকে আপনার ব্যক্তিগত বা আর্থিক বিবরণ দেবেন না।
আপনি এই ধরনের কল পাওয়ার সাথে সাথে আইনি সংস্থাগুলিকে জানান।
আপনি যদি কোনো ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হন, অবিলম্বে হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০- এ যোগাযোগ করুন।