করোনা ভাইরাসের জেরে অনেক দেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন। ঘরবন্দি রয়েছেন একাধিক মানুষ। বন্ধ রাখা হয়েছে অফিস, স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দরকারি প্রয়োজনীয় কাজ তো আর বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তাই কাজের অন্যতম এক ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম জুম হয়ে উঠেছে জুম। লকডাউনে যার পরিচিতি খানিক বেড়েছে বলা চলে। আগে অফিস, কলেজের গন্ডিতে থাকলে, এখন তা পৌঁছে গিয়েছে আড্ডা স্থলেও। কাজেই, জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে এখন এই ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম। তার মূল কারণ, একসঙ্গে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব। যা হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে সম্ভব নয়। কিন্তু, এত গুনাবলি থাকলেও এই প্ল্যাটফর্মটি গ্রাহকদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয় বলেই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
জানা যাচ্ছে, লকডাউনের আগে প্রায় ১ কোটি মানুষ জুম ব্যবহার করত। সেখানে ২০ কোটি তে পৌঁছে গিয়েছে ইউজার সংখ্যা। বাড়ি থেকে যাঁরা কাজ করছেন তাদের ক্ষেত্রে মিটিং বা অফিসের দরকারি কোনো কাজ করার জন্য বড় ভরসা হয়ে উঠেছে এই জুম। গুগল বা নাসার মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলিও ব্যবহার করত এই প্ল্যাটফর্ম। প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি মিটিং হয় জুম মারফত। কাজেই, জুমে প্রয়োজনীয় গোপন অনেক তথ্য আলোচনা করা হয়। সাইবার সুরক্ষা সাইবেল দাবি করেছে, এখানে গোপন যে আলোচনা করা হয় তা ফাঁস হয়ে যেতে পারে। কারণ ইতিমধ্যে জুমের ৫ লক্ষের বেশি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য যা ডার্ক ওয়েবের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ্য রয়েছে, অফিসিয়াল গোপন তথ্য নিয়ে জুম ভিডিও কলে আলোচনা করা উচিত হবে না। অভিযোগ করা হয়, জুম কল এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড নয়। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দরকারি মিটিং এর মাঝে অপরিচিত কেউ ঢুকে পড়েছে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের বেচে দিচ্ছেন জুম কর্তৃপক্ষ, এমন অভিযোগও উঠেছে। জুমের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের জন্য জুম সুরক্ষিত নয়। এতে অজান্তেই সংস্থার বিপদ বা মানুষের ব্যক্রিগত তথ্য ফাঁসের কারণে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। গোপনীয়তা বজায় নাও থাকতে পারে।