চারিদিকে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক, তার সঙ্গে কুঝিকঝিক শব্দ। সঙ্গী নিস্তব্ধতা। এমন মনোরম সন্ধ্যায় দার্জিলিং চা-য়ে চুমুক দিতে দিতে প্রিয়জনের সঙ্গে পাহাড়িয়া পথে টয় ট্রেন যাত্রা।
এ কোনও বিদেশি সিনেমার অনুকরণে ভেবে ওঠা নয়। ভারতীয় রেল এবারে পর্যটকদের সত্যিই দিচ্ছে এমন সুযোগ। শিলিগুড়ি জংশন-রংটং স্পেশাল চার্টার্ড টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। রবিবার শিলিগুড়ি জংশন থেকে এই পরিষেবা চালু করলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম সিপি গুপ্তা।
আরও পড়ুন: নেপালে ভারতীয় নোট নিষেধাজ্ঞায় মাথায় হাত এ শহরের ট্যুর অপারেটরদের
দার্জিলিংয়ে পর্যটনের প্রসারে টয় ট্রেনের গুরুত্ব যে অসামান্য, সে সম্পর্কে অবহিত সকলেই। সে কথা মাথায় রেখেই টয় ট্রেন নিয়ে নিত্য নতুন পরিকল্পনা করে চলেছে ডিএইচআর। দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের দাবি ছিল, অন্যান্য ট্রেনের মত টয় ট্রেনেও খাবারের ব্যবস্থা করুক রেল। শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত টয় ট্রেনে জঙ্গল সাফারি শুরুর সময়ে পর্যটকদের সে দাবির কথা মাথায় রাখা হয়েছিল। এ ট্রেনে থাকবে ডাইনিং ফেসিলিটি। সেখানে দার্জিলিং চা তো থাকবেই, থাকবে সিঙ্গাড়া, কচুরি, স্ন্যাক্স।
তবে খাবার ব্যাপারে যদি কেউ আগ্রহী না হন, তাঁদের জন্য শুধু প্রথম শ্রেণির কামরার বন্দোবস্তও রয়েছে। ডাইনিং কারে যেতে ভাড়া পড়বে ১,২০০ টাকার মতো। প্রথম শ্রেণিতে খরচ কম বেশি ১,০০০ টাকা।
শিলিগুড়ি জংশন থেকে এই বিশেষ ট্রেন ছাড়বে বেলা তিনটেয়। প্রথম স্টপেজ সুকনায়। সেখানে রেল মিউজিয়ম পরিদর্শনের সময় আধঘন্টা। তারপরের গন্তব্য রংটং। রংটংয়ে ট্রেন থামবে ১০ মিনিট। তারপর ফিরতি যাত্রা শিলিগুড়ির দিকে। সন্ধে ছ'টার মধ্যে শিলিগুড়িতে ফিরে আসবে এই ট্রেন।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েজের ডিআরএম গুপ্তা জানিয়েছেন, "সাধারণ মানুষের দাবি মেনে শিলিগুড়ি থেকে রংটং চার্টার্ড পরিষেবা চালু করা হল। এর নাম দেওয়া হয়েছে জঙ্গল সাফারি।" এই রুটে সাফল্য এলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চার্টার্ড রুট চালু করার কথা ভেবে রেখেছে ডিএইচআর।