IRCTC ticket Price concession: ট্রেন টিকিটে ছাড় পাওয়ার নিয়মগুলো কী কী সেটা ভাল করে জানেন তো? যাঁরা জানেন, তাঁরা আরেকবার মিলিয়ে নিন, যাঁরা জানেন না, তাঁরা একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
ট্রেনের টিকিটে এক চতুর্থাংশ থেকে পুরো ১০০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। কারা কারা ছাড় পেতে পারেন? ছাড়ের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা। এছাড়া যাঁরা টিকিটে ছাড় পেতে পারেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রতিবন্ধী যাত্রী, ছাত্রছাত্রী, যুদ্ধে নিহত সেনা জওয়ানদের স্ত্রী এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা। এর মধ্যে আইআরসিটিসি-র অনলাইন পোর্টালে টিকিট কাটার সময়ে সরাসরি ছাড় পেতে পারেন প্রবীণ নাগরিকরা। অন্য ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় পেতে গেলে রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে গিয়েই টিকিট কাটতে হবে।
ট্রেনের টিকিটে ছাড়ের দশটি বিধি
১. ট্রেনের রকমফের নির্বিশেষে সমস্ত মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনেই টিকিটর দামে ছাড় পাওয়া যায়।
২. ছাড় মেলে শুধুমাত্র মূল ভাড়ার উপরেই। অন্য কোনও চার্জের উপর, যেমন রিজার্ভেশন চার্জ, বা সুপারফাস্ট চার্জের উপর ছাড় লাগু হয় না।
৩. একজন যাত্রী একবার যাত্রার সময়ে একটি খাতেই ছাড় পেতে পারেন। কোনওভাবেই একাধিক ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকলেও এক যাত্রায় পৃথক ছাড় দেওয়া হয় না।
৪. ছাড়ের টিকিটে যাত্রার ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই ব্রেকজার্নি করা যায় না, যদি না প্রাকৃতিক কারণে ব্রেক জার্নি করতে বাধ্য হতে হয়।
৫. প্রবীণ নাগরিক ছাড়া অন্যদের টিকিটে ছাড় পেতে গেলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত শংসাপত্র দাখিল করতে হবে। ভারতের বাইরের কোনও দেশের শংসাপত্র এক্ষেত্রে গ্রাহ্য নয়।
৬. কনসেশন টিকিট পাওয়ার জন্য রিজার্ভেশন ফর্মের নির্দিষ্ট জায়গায় সে ব্যাপারে উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।
৭. ছাড়প্রাপ্ত টিকিটের যাত্রী একবার টিকিট কাটা হয়ে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিলেও উচ্চতর শ্রেণিতে ভ্রমণের জন্য টিকিট পরিবর্তন করতে পারবেন না।
৮. সিজন টিকিট, সারকুলার জার্নি টিকিট এবং রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে কোনও ছাড় পাওয়া যায় না। তবে গরিব রথ এক্সপ্রেস ট্রেনে ছাড় মেলে।
৯. সমস্ত ধরনের ছাড়ই সারা ভারতের সমস্ত স্টেশন, রিজার্ভেশন দফতর, ও বুকিং অফিসে পাওয়া যায়।
১০. উপযুক্ত টিকিট ছাড়া কোনও যাত্রী ভ্রমণ করলে, বা যাত্রাপথের অতিরিক্ত ভ্রমণ করলে, বা উচ্চতর শ্রেণিতে ভ্রমণ করলে, সঙ্গে সঙ্গে সেই যাত্রীর টিকিটে ছাড় বাতিল হয়ে যাবে।