বিগত কয়েক বছর ধরেই ঝাড়খণ্ডের পর্যটন শিল্প বেশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। এবার রাজ্যের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জীবনশৈলী, ঐতিহ্য আর সংস্কার পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই লক্ষ্যেই পূর্ব সিংভূমে একটি গোটা সাঁওতাল গ্রাম তৈরি করতে চলেছে রাজ্যের পর্যটন দফতর। রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী জানিয়েছেন, জাতীয় নগরায়ন প্রকল্পের অধীনে এই আদিবাসী গ্রাম তৈরি করা হচ্ছে। আনুমানিক খরচ ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমিত কুমার জানিয়েছেন, "ঘাটশিলা মহকুমার এই আদিবাসী গ্রামে পর্যটকেরা সাঁওতালদের জীবনযাপনের আসল স্বাদ পাবেন। আদিবাসী রসনার স্বাদ নিতে পারবেন ভোজন রসিকরা। দেশির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদেরকেও আকর্ষণ করবে এই সাঁওতাল গ্রাম, আশা করা হচ্ছে তেমনটাই।" এক বছরের মধ্যেই বানিয়ে ফেলা হবে 'আদর্শ সাঁওতাল গ্রাম'। অমিত কুমার আরও জানিয়েছেন, "কেরালার ব্রেড অ্যান্ড বেড মডেল মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে সাজানোর চেষ্টা করছি আমরা।"
আরও পড়ুন, থাসার ইকোটুরিজম: বাকহুইটের রুটি, চাকভাঙা মধু দিয়ে ব্রেকফাস্ট এবং…
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের মধ্যে ভবিষ্যতের ইকো-টুরিজম কেন্দ্র হয়ে ওঠার সব লক্ষণ বিদ্যমান, জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার।
প্রসঙ্গত, সাঁওতাল-সহ মোট ৩২ ধরনের উপজাতি রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এদের মধ্যে ওঁরাও, মুন্ডা, চিকবারিক, হো উল্লেখযোগ্য। তবে সাঁওতালরাই সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। ভারতে কেন্দ্র স্বীকৃত যে ২২ টি ভাষা রয়েছে, তাতে বছর কয়েক আগেই সংযোজিত হয়েছে সাঁওতালি ভাষা। এই ভাষার হরফ পরিচিত অলচিকি নামে।
সম্প্রতি, বুড়ুডি-দলমা-চান্দিলকে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের অধীনে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Read the full story in English