ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বুধবার দাবি করেছেন রাজ্য সরকার কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে মডেল নিয়েছে তা দেশের মধ্যে সর্বোত্তম। তিনি বলেন, যে কেরালা মডেল সারা দেশে প্রশংসিত হচ্ছে তা পুরোটাই হোম কোয়ারান্টিনের উপর নির্ভরশীল, অন্যদিকে ত্রিপুরা একই সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ ও ভাইরাস ছড়ানোর প্রতিরোধের কাজ করেছে।
রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “করোনা প্যানডেমিক প্রতিরোধে আমাদের মডেলই সেরা। কেরালা ও অন্য কিছু রাজ্য কেবলমাত্র হোম কোয়ারান্টিনে জোর দিয়েছে, সেখানে আমরা নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারেরও জোর দিয়েছি। আমাদের এখানে মৃত্যুহার শূন্য এবং আমরা ১:৫ অনুপাতে মানুষের টেস্ট করিয়েছি। আমাদের এই পদক্ষেপ আগামী দিনেও চলনে কারণ আমরা একএক সময়ে একএক রকম নিয়ম বদল করতে পারি না। প্রটোকল বারবার বদলাতে গেলে অনেক সমস্যা হয়।”
মন্ত্রী বলেন, কারো যদি হোম কোয়ারান্টিনে সমস্যা হয় তাহলে তিনি করোনা নিয়ে গ্রামস্তর পর্যন্ত যে কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে তার সাহায্য নিতে পারেন এবং অন্য কোয়ারান্টিনে বসবাস করতে পারেন।
অন্য একটি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ২৯ মে থেকে শুরু করে যে কোনও সময়ে ৮টি জেলার ৫৮টি ব্লকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা পরিদর্শনে যেতে পারেন”।
বর্তমানে ত্রিপুরায় ৬৫ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন যাঁদের মধ্যে ৬৪ জনের চিকিৎসা চলছে আগরতলায় জিবি পন্থ সরকারি হাসপাতালে ও অন্য একজনের চিকিৎসা চলছে আগরতলার ভগৎ সিং ইয়ুথ হোস্টেলে। ১৬৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ।
রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ২৪৪৫৪ টি নমুনা সংগ্রহ করেছে যার মধ্যে ২৩২৬৪ নমুনা এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ৯৭৩৩ জন হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন এবং ৩৬৭ জন অন্য বিভিন্ন কোয়ারান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন।
বিশেষ ট্রেনে যাঁরা ত্রিপুরায় ফিরছেন তাঁদের মধ্যে ১১৫৪ জন মুম্বই থেকে ফিরেছেন, এঁদের মধ্যে ৪৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ। চেন্নাই থেকে ফেরা ১২৭৩ জনের মধ্যে ৫ জন পজিটিভ। দিল্লি থেকে ফেরা ৮৫৩ জনের মধ্যে ৩ জন পজিটিভ। তবে বেঙ্গালুরু থেকে ফেরা ৫৭০৩ জন বা হায়দরাবাদ থেকে ফেরা ১১২৫ জনের মধ্যে একজনও পজিটিভ নন।