পুলিশ মামলা দায়ের করার দুদিন পর আদালত থেকে আগাম জামিন নিলেন প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিমের ২৩ জন সদস্য। পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা দায়রা আদালত বৃহস্পতিবার তাঁদের নিঃশর্তে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। সাংবাদিকদের আই-প্যাক টিমের আইনজীবী পীযুষকান্তি বিশ্বাস এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, ২৩ জনকে অবৈধভাবে তিনদিন ধরে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে। তারপর মামলা দায়ের করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেছেন, সরকারি কৌঁসুলি জামিন খারিজের জন্য আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন দিতে চাইলে তিনি শর্তসাপেক্ষে তা দিতে বলেন। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন মেনে নিঃশর্তে জামিন দিতে রাজি হয়েছে। বিনাশর্তে তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছএ আদালত। আইনজীবী বিশ্বাস নিজে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি বলেছেন, আই-প্যাক টিমের উপর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
নিম্ন আদালতে জামিন না হলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতেন আই-প্যাকের সদস্যরা। বেআইনিভাবে ঘরবন্দি করে রাখা, নিগ্রহ এবং নির্যাতন করা হয়েছে ত্রিপুরায় আসার পর থেকে, অভিযোগ পীযূষবাবুর। অন্যদিকে, এদিন আগরতলায় পৌঁছে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন কটাক্ষ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই ত্রিপুরা সরকার এটা করেছে।
আরও পড়ুন আইপ্যাক-কাণ্ডে চাপ বাড়াতে ত্রিপুরায় ডেরেক-কাকলি, দিল্লি থেকে যাবেন অভিষেকও
উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে পূর্ব আগরতলার একটি হোটেলে ‘বন্দি’ আইপ্যাকের কর্মীরা। করোনাবিধি লঙ্ঘন করে ঘোরার দায়ে তাঁদের তলব করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই হোটেলের ভিতর এবং বাইরে সশস্ত্র পুলিশ। আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরার রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসতে চায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন লেনিন তত্ত্বে ভরসা রেখেই ত্রিপুরায় ঘাস-ফুল ফোটাতে মরিয়া কলকাতার ছাত্র
বুধবার সেই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরা পৌঁছন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আরও দুই তৃণমূল সাংসদকে আগরতলায় পাঠাল ঘাসফুল শিবির। এদিন আগরতলা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ডেরেক বলেন, ‘শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় আসবেন। গোটা দেশেই মোদি-শাহ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। এ রাজ্যে ম্যাচ এখনও শুরুই হয়নি। তার আগেই কাঁপছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন