মঙ্গলবার ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় রাজ্য সচিবালয়ে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেছে ত্রিপুরায় লকডাউনের জন্য ভোট সম্ভব নয়।
মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা এডিসির কমিটি ১৭ মে ভেঙে দেওয়া হবে এবং পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব নেবেন রাজ্যপাল। ২০১৯ সাল থেকে ত্রিপুরার সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন রমেশ বেইস।
মন্ত্রী জানিয়েছেন সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল অনুসারে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল বিষয়ক সমস্ত ক্ষমতাই রাজ্যপাল পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের হাতে রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তিনি টানা ৬ মাসের বেশি এই অধিকার ভোগ করতে পারেন না, যদি না দ্বিতীয়বার তাঁর হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়। তাঁর দেওয়া সমস্ত নির্দেশ রাজ্য বিধানসভায় পাশ করার পর লাগু হবে।
আরও পড়ুন, সম্পূর্ণ জেলা জোন হলে সমস্যা, রাজ্যের মতামত নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল প্রয়োজন বোধ করলে এডিসি পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ করবেন। এর আগে গত ২৬ মার্চ ত্রিপুরায় ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের নির্বাচন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জনজাতি কল্যাণ বিভাগের ডিরেক্টর এন ডারলং এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকার এডিসি-র ভোট কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিচ্ছে।
সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় টিটিএডিসি-র চিফ একজিকিউটিভ সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা বলেন তাঁরা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবেন।
শাসকদল বিজেপির মুখপাত্র ডক্টর অশোক সিনহা বলেছেন তাঁর দলও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে, এবং অন্য দলের সিদ্ধান্তকেও সম্মান জানাবে। সংবিধানের সপ্তম তফশিল অনুসারে ১৯৭৯ সালে টিটিএডিসি আইনের আওতায় রাজ্যের জনজাতি পরিষদ তৈরি হয়েছিল ও পরে তা ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত হয়। কাউন্সিলে মোট ৩০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ২৮টি নির্বাচিত ও বাকি দুটি রাজ্যপাল মনোনীত।
এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতে রাজ্যের বিধানসভায় ত্রিপুরা এডিসির আসনসংখ্যা ৩০ থেকে ৫০-এ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন