বিপ্লব দেব নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার বুধবার দাবি করেছে সে রাজ্যে করোনা থেকে আরোগ্যের হার সর্বাধিক, রাজ্যে ১৭৩ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ১১৬ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি রাজ্যের
রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, জাতীয় স্তরে আরোহ্যের হার এখন ৩৯ শতাংশ, ত্রিপুরায় তা ৬৮.৮৩ শতাংশ।
বুধবার ত্রিপুরায় চারজনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, রাজ্যে মোট সংক্রমণ এখন ১৭৩। তিনি বলেন, ভারতের কোভিড-১৯ আরোগ্যের হার ৩৯ শতাংশ। ত্রিপুরায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি ৬৮.৮৩ শতাংশে। এখনও পর্যন্ত আমাদের রাজ্যে কোভিড ১৯ রোগীদের আরোগ্যের ক্ষেত্রে আমরা শীর্ষে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ১৭৩ জন সংক্রমিত হলেও কোভিড-১৯ পজিটিভিটি হরা মাত্র ০.৩৩ শতাংশ। রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষে ৩৭৭৩ জনকে টেস্ট করে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে।
ত্রিপুরায় প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে একজন মহিলার শরীরে, যিনি গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। এর পরে পরেই ত্রিপুরা স্টেট রাউফেলসের একজন জওয়ানও পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়েন। পরে দুজনেই সেরে যান ও এপ্রিল মাসে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর পর বাংলাদেশ সীমান্তের ধলাই জেলায় বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে বড় ধরনের করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ত্রিপুরায় এখনও পর্যন্ত যে ১৭৩ জন সংক্রমিত তাঁদের মধ্যে বিএসএফ কর্মীর সংখ্যা ১৬০-এর বেশি।
এঁদের মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, ১১৬ জন ছাড়া পাওয়া রোগী ১০ দিন গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে ছিলেন। এঁদের মধ্যে কোনও কোভিড-১৯ উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এঁদের এখন ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে রাখা হবে।
এ রাজ্যে কোনও গোষ্ঠী সংক্রমণ ধরা পড়েনি, এমনকী রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ধলাই জেলাতেও নয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ত্রিপুরায় টেস্টিংয়ের হার উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলির অন্যতম।
উত্তর পূর্বের অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রী জানান, আসামে প্রতি ১০ লক্ষে ১১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, নাগাল্যান্ডে ৫০০-রও কম, সিকিমে ১৬৩৭, অরুণাচল প্রদেশে ২৪৩৫, মিজোরামে ২৩৭, মণিপুরে ৫৫০ এবং মেঘালয়ে ৮৯৮।
এক লক্ষের বেশি মানুষকে সারা দেশে পজিটিভ চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে ৩৯১৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্য যেসব রাজ্যে আরোগ্যের হার বেশি, তার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে আরোগ্যের হার ৬৩.৮২ শতাংশ, জম্মু-কাশ্মীরে ৪৭.২৫ শতাংশ, দিল্লিতে ৪৪.০৬ শতাংশ এবং তামিল নাড়ুতে ৩৭.৪৭ শতাংশ।