Advertisment

'শহরবাসীরাই করোনা আক্রান্ত হন', বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা রুখে দাবি ত্রিপুরার গ্রামবাসীদের

''গ্রামবাসীরা বলেছেন, করোনায় তাঁরা আক্রান্ত হবেন না, শহরবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা''।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের।। লকডাউনের দিনবদল রাজনৈতিক।। অসুস্থকে অ্যাম্বুলেন্সে নিতে 'নাটক'

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষাকে রুখে দিলেন ত্রিপুরার গ্রামের বাসিন্দারা। শহরবাসীরাই করোনায় আক্রান্ত হন, গ্রামবাসীরা নন, কার্যত এমন দাবি জানিয়েই গ্রামে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার উদ্য়োগকে আটকে দিলেন ত্রিপুরার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানোর জন্য় ত্রিপুরার তুইমাধু, মুঙ্গাইকামি, জুমবাড়ি, তুলসিখার গ্রামে যায় একটি দল। কিন্তু গ্রামে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। সমীক্ষা প্রক্রিয়া থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে, এমন দাবিই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে খোয়াইয়ের জেলাশাসক স্মৃতি মোল জানান, ''গ্রামবাসীরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে তাঁরা আক্রান্ত হবেন না, শহরবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। মেডিক্য়াল টিমকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেন''। যেহেতু বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা স্বেচ্ছাসেবী প্রক্রিয়া, তাই গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: মহিলা ডাক্তারের মাথায় ‘থুতু ছেটালেন’ করোনা রোগী, ত্রিপুরায় শোরগোল

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ''আমরা তাঁদের বোঝাই যে সকলের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। সমস্ত বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হবে এবং যাঁদের উপসর্গ থাকবে, তাঁদের নমুনা নেওয়া হবে। কিন্তু তাতেও তাঁরা রাজি হননি। সমীক্ষার জন্য় এখনও সময় রয়েছে। দেখা যাক ওঁরা রাজি হন কিনা''।

খোয়াইয়ের পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ''সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। মেডিক্য়াল টিমকে ঢুকতে বাধা দেন। দুপুর ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। কিন্তু ওঁরা সমীক্ষা চালাতে দেননি''। ত্রিপুরা স্বাস্থ্য় ও পরিবারকল্য়াণ ডিরেক্টর ডা. রাধা দেববর্মা জানিয়েছেন, ''ওঁরা সমীক্ষা চালাতে দেননি''।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tripura coronavirus
Advertisment