মেডিকেল ডায়াগনস্টিক কিট এবং মোবাইল ফোনে চার্য দেওয়ার এক অনন্য প্রযুক্তি তৈরি করলেন ত্রিপুরার ছেলে। ভেজা কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার মতো অভিনব উদ্ভাবনের জন্য গান্ধীয়ান ইয়ং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন (জিওয়াইটিআই) পুরস্কার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন শঙ্খশুভ্র দাসের হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিপাহিজালা জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম খেদাবাড়ির বাসিন্দা শঙ্খাশুভ্র। জলের বাষ্পীকরণ এবং ক্যাপিলারি অ্যাকশনের উপর নির্ভর করে বানিয়েছেন এই আবিষ্কার। আংশিকভাবে ভরা জলের পাত্রে উল্লম্বভাবে স্থির করা একটি প্লাস্টিকের স্ট্র-এর মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় কাটা ভেজা টুকরো ব্যবহার করেছিলেন। কপার ইলেক্ট্রোডগুলি ভোল্টেজ সংগ্রহের জন্য স্ট্র-এর দু'পাশে লাগানো হয়। দেখা যায় ভোল্টমিটারে ৭০০ মিলিভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারছে এই যন্ত্র।
আইআইটি খড়গপুর থেকে পিএইচডি করেছেন শঙ্খশুভ্র। তিনি বলেন, "এখানে আমরা কেবল কয়েক সেন্টিমিটারের ভেজা কাপড় ব্যবহার করেছি উৎস হিসেবে। ফ্যাব্রিকের ন্যানোপার্টিকালসগুলোয় ক্যাপিলারি অ্যাকশন দেখতে পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে সেই প্রক্রিয়াটিকেই কাজে লাগিয়েছি। এই ব্যবস্থাটির জন্য কোনও যান্ত্রিক শক্তি বা কাঠামোর প্রয়োজন হয় না।"
যদিও যতটা বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হচ্ছে তা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চার্জ করার পক্ষে পর্যাপ্ত ছিল না। তাই গবেষক ও তাঁর বন্ধুরা মিলে ৩০ থেকে ৪০টি ডিভাইসকে একত্র করে সিরিজ কানেকশনের মাধ্যমে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। যা দিয়ে ছোট এলইডি, একটি মোবাইল এবং কয়েকটি মেডিকেল কিটস চার্য দেওয়া যায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন