Advertisment

তিন মাসের মধ্যে জলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য চলাচল শুরু

এই পরিকল্পনায় গোমতী নদীর পলিমাটি সরানোর কথা ও রয়েছে যাতে শীতকালে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী বাংলাদেশের আশুয়াগঞ্জ বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণের জন্য ছোট জাহাজ চলাচল করতে পারে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tripura Bangladesh Waterway

প্রস্তাবিত জেটির কাছেই মাছ ধরছেন গ্রামবাসীরা

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব শুক্রবার বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গোমতী নদী গিয়ে পণ্য চলাচল তিন মাসের মধ্যে চালু হবে।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সোনামুড়া ও সিপাহিজলা জেলার বিভিন্ন জায়গায় গ্রামস্তরে কোয়ারান্টিন সেন্টার পরিদর্শনে যান। যাঁদের বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকতে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যাতে গ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনের সুবিধা পান, সে কারণে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিনের পরিদর্শনের সময়ে সোনামুড়ায় যে অঞ্চলে নদী যোগাযোগের প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থান পরিদর্শন করেন।

এদিনের পরিদর্শনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই এ ব্যাপারে স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশই বাংলাদেশে অতিমারীর মধ্যে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওঁদের এ কারণে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা করছি আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে অস্থায়ী জেটি তৈরি হয়ে গেলে জাহাজ যাতায়াত করতে পারবে বলে আমি আশা করছি।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন যেহেতু বর্ষাকাল ফলে গোমতী নদীতে নৌকা ও ছোট জাহাজ দুইই চলাচলের মত যথেষ্ট জল রয়েছে। যদিও পুরোপুরি কাজ শুরু করার জন্য স্থায়ী জেটি প্রয়োজন, তাহলেও সে পর্যন্ত অস্থায়ী জেটি দিয়ে কাজ চলবে। স্থায়ী জেটি তৈরি করতে তিন বছর সময় লাগবে।

ভারতের জলপথ কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে একটি জেটি ও একটি ওয়ারহাউস নির্মাণের জন্য ত্রিপুরায় সমীক্ষা চালায়। নিকটবর্তী বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করা পণ্যে কাস্টমস চেকিংয়ের জন্য একটি টার্মিনাল বিল্ডিংও তৈরি হবে।

এই পরিকল্পনায় গোমতী নদীর পলিমাটি সরানোর কথা ও রয়েছে যাতে শীতকালে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী বাংলাদেশের আশুয়াগঞ্জ বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণের জন্য ছোট জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে বর্ষাকালে এই জলপথের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে অস্থায়ী জেটি তৈরি করা হয়ে গেলে ৫০ টন মাল বহনে সক্ষম ছোট নৌকো ও ফেরি সার্ভিস চালু হবে।

মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, জলপথে চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ সুদৃঢ় হবে, রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং উত্তরপূর্বের দুয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠি হওয়ার পথে তা ত্রিপুরাকে সাহায্য করবে।

tripura tripura CM
Advertisment