‘গোটা দেশ শাহিনবাগে পরিণত হবে’, সিএএ বিরোধিতায় সোচ্চার হয়ে মোদী-শাহকে এমন হুঁশিয়ারিই দিলেন প্রাক্তন সাংসদ কথা ত্রিপুরার গণ মুক্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট জীতেন্দ্র চৌধুরী। দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘একশো দিনের বেশি সময় ধরে শাহিনবাগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মহিলা, পড়ুয়ারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে চাই, কেউই সিএএ সমর্থন করবেন না। গোটা দেশ শাহিনবাগে পরিণত হবে। আমরা কিছুতেই এই নয়া আইনকে লাগু হতে দেব না’’। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।
আগরতলায় সিএএ বিরোধী সভা থেকে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে জীতেন্দ্র চৌধুরী আরও বলেন, ‘‘প্রতি ২৮ মিনিটে ভারতীয় কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। তাঁরা তাঁদের চাষের জমি হারাচ্ছেন। তফশিলি ও সংখ্যালঘুরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তাঁদের জন্য কেন্দ্র সরকারের কোনও প্রকল্প নেই। বেকারত্ব দূরীকরণে কোনও দিশা দেখাতে পারেনি এবারের বাজেট। অথচ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য ওঁদের হৃদয় কাঁপছে’’।
আরও পড়ুন: ‘মোদী সরকার বলেছিল সিএএ-এনআরসি-এনপিআর পরষ্পর যুক্ত…আর এখন বলছে নয়’
জীতেন্দ্র চৌধুরী। ছবি: দেবরাজ রায়।
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভারতের এই নীতির সমালোচনা হচ্ছে বিদেশের সংসদে। শিকাগো, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়রাও সরব হয়েছেন’’। এদিন, সিএএ বিরোধিতায় ত্রিপুরায় মিছিল করে গণ মুক্তি পরিষদ। পাশাপাশি নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল করেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা।
এদিন বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটিকেও একহাত নিয়েছেন জীতেন্দ্র। গণ মুক্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘টিপরাল্যান্ড’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। অথচ গত ২ বছরে ত্রিপুরা বিধানসভায় এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করল না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন