ত্রিপুরায় আটক ন'জন হিন্দু অনুপ্রবেশকারী

"গ্রামবাসীরাই প্রথমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে তারপর পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে এখানে থাকা শুরু করেছে"

"গ্রামবাসীরাই প্রথমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে তারপর পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে এখানে থাকা শুরু করেছে"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ত্রিপুরায় সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ

সারা দেশ যখন সিএএ নিয়ে উত্তাল, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৯ জন বাংলাদেশী হিন্দু অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল পুলিশ।  সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম ত্রিপুরার মাথাই গ্রামে। আটক হওয়া ন'জনের কেউ সিলেট, কেউ বা চট্টগ্রামের। এদের প্রত্যেককেই পেশ করা হয়েছে আদালতে।
Advertisment
সিধাই মোহনপুর থানার দায়িত্বে থাকা বিজয় সেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "গ্রামবাসীরাই প্রথমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে তারপর পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে এখানে থাকা শুরু করেছে"।
Advertisment
আটক করা ন'জনের মধ্যে তিনজন মহিলা, তিনজন পুরুষ। বাকি তিনজন নাবালক।
এর আগে গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ত্রিপুরার রাজ পরিবারের কিশোর মানিক্য দেববর্মণ সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপার করছেন। ভিডিওটি সম্পরকে দাবি করা হয়েছিল সীমান্ত অতিক্রম করে ত্রিপুরা দিয়ে বাংলাদেশিরা এই দেশে চলে আসছেন।
ত্রিপুরার শাসক দলের শরিক আইপিএফটি কেন্দ্রের নতুন সিএএ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে আইপিএফটি-র সদস্য বৃষকেতু দেব বর্মণ দাবি করেছেন দালালদের সাহায্যেই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, "রাজ্যের এই অঞ্চলে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এমন অনেকেই আছেন, যারা দু'দেশেরি নাগরিকত্ব উপভোগ করছে। কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি, ওরা শান্তিতে থাকতে চায়। আমরা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নই। তবে এই কারণে সিএএ-র বিরোধিতা করেছি"।