Advertisment

রণক্ষেত্র ত্রিপুরা, পুলিশের গুলিতে হত ১, জখম ২০

পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্য়ু হয়েছে। খণ্ডযুদ্ধে জখম হয়েছেন আরও ২০ জন। যাঁদের মধ্য়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ত্রিপুরা পুলিশ, দমকলের কর্মীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tripura,ত্রিপুরা, ত্রিপুরার খবর

অবরোধ ঘিরে ওই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

ব্রু উপজাতির পুনর্বাসন ঘিরে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা। উত্তর ত্রিপুরায় পানিসাগরে জাতীয় সড়কে অবরোধকারীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে রক্ত ঝরল। পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্য়ু হয়েছে। খণ্ডযুদ্ধে জখম হয়েছেন আরও ২০ জন। যাঁদের মধ্য়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ত্রিপুরা পুলিশ, দমকলের কর্মীরা।

Advertisment

উল্লেখ্য়, ১৯৯৭ সালে মিজোরাম লাগোয়া মমিট, কোলাসিব, লুঙ্গলেই জেলায় পালিয়ে আসা ৩২ হাজারেরও বেশি ব্রু পরিযায়ীদের ত্রিপুরায় পুনর্বাসনের ব্য়বস্থা করা হচ্ছে। ত্রিপুরা সরকার, মিজোরাম, কেন্দ্র সরকার ও ব্রু পরিযায়ীদের মধ্য়ে চুক্তি অনুযায়ী এই পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে গলল বরফ, রেল অবরোধ তুলে নিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ ও মিজো কনভেনশনের মতো কয়েকটি সংগঠন কাঞ্চনপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য় বনধ ডেকেছে। এদিন পানিসাগরে ৮ নং জাতীয় সড়কে বেশ কয়েকজনের জমায়েত হয়। সকালে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুনর্বাসন ফর্মুলা বাতিল করার দাবি জানানো হয়।

অবরোধ ঘিরে ওই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে শ্রীকান্ত দাস নামে বছর চল্লিশের এক ব্য়ক্তির।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিজিপি রাজীব সিং বলেন, আত্মরক্ষার্থে বাধ্য় হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তিনি বলেন, নিরাপত্তা কর্মীদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল উত্তেজিত জনতা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনায় একজনের মৃত্য়ু হয়েছে, জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন ত্রিপুরা পুলিশ ও দমকলের কর্মী। তাঁদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tripura
Advertisment