ভয়ঙ্কর এক ঘটনা! উত্তর ত্রিপুরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দেখা গেল এমনই একটি দৃশ্য। ছয়টি অজগরের দেহ জবাই করে চলল ক্ষিদে মেটানোর পর্ব। মূল শহর থেকে প্রায় ২২১ কিলোমিটার দূরে সিমলং-এর কাছে একটি গ্রামে টুকরো টুকরো করা হল সাপের দেহ, আলাদা করা হল দেহ-মাথা। এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল বন্যপ্রাণী অধিকার রক্ষা কমিটি। এই ঘটনার ন্যায়বিচারের আহ্বানও জানান তাঁরা।
এমন ছয়টি সাপ হত্যা করা হল ত্রিপুরা সীমান্তে। ছবি- দেবরাজ দেব
এই ঘটনায় হতচকিত ত্রিপুরার একটি এনজিও সংস্থাও। পাভসোম, ত্রিপুরাভিত্তিক একটি অসরকারি এনজিও সংস্থা যারা প্রাণী সুরক্ষা এবং প্রাণী চোরাচালান নিয়ে কাজ করে, তাঁরা জানিয়েছে যে এই ছয়টি পাইথন বিপন্ন প্রজাতির ছিল। পাভসোমের সাধারণ সম্পাদক ঋগ্বেদ দত্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকমকে বলেন, "ছয়টি বিপন্ন প্রজাতির অজগর খাওয়ার জন্য জবাই করা হয়। বন ও বন্যজীবন ধ্বংসের এই অবৈধ প্রথা বছরের পর বছর ধরে চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন কঠোর পদক্ষেপ বা সচেতনতা নেওয়া হয়নি। এই অবৈধ চর্চা বন্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগকে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছি"।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন ডি.কে.শর্মা জানান যে তিনি ইতিমধ্যে ঘটনাটি থেকে বেশ কিছু ছবি সংগ্রহ করেছি। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগকে শীঘ্রই একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। কিছু লোককে সেই ফটোতে দেখা যায়। আমরা এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট বন বিভাগকে শীঘ্রই একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি ”। কাঞ্চনপুর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার বিব্রত মারাক আজ বিকেলে বলেছিলেন, “আমরা গতকাল ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্তের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ”।