Advertisment

ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে বাধা-হোটেলে খেতে না দেওয়ার অভিযোগ, বিজেপির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত সায়নী

তাঁর অভিযোগ, যে হোটেলে তিনি ছিলেন সেখানে ই-মেল মারফত কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেয় বিজেপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ত্রিপুরায় গিয়ে এবার বাধার সম্মুখীন হলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

ত্রিপুরায় গিয়ে এবার বাধার সম্মুখীন হলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। ত্রিপুরায় যোগদান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর অভিযোগ, যে হোটেলে তিনি ছিলেন সেখানে ই-মেল মারফত কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেয় বিজেপি। এমনকী হোটেল খাওয়ার সময়ও সায়নী-সহ কয়েকজনকে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন সায়নী। সেখানে দেখা যায়, হোটেল কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা হচ্ছে তাঁর।

Advertisment

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেসের যুব সংগঠন থেকে মোট ৭০ জন সায়নীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল। একাধিক নেতা-নেত্রী বার বার ত্রিপুরায় সফর করছেন। সায়নীও কর্মসূচির লক্ষ্যে সেখানে যান। তাঁর অভিযোগ, গতকাল রাতে আড়াই ঘণ্টা হোটেলের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে কর্মসূচি না করেই হোটেল ছাড়েন তাঁরা। এরপর হোটেলের ডাইনিং রুমে খাওয়ার সময়ও একপ্রস্থ নাটক হয়। কোনও রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা করা যাবে না বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে। তাতেই ক্ষুব্ধ হন সায়নী।

সায়নী নিজের পেজে লিখেছেন, "কর্তৃপক্ষকে কোনও রকম দোষ দিচ্ছি না, বিজেপির তরফ থেকে তাদের অফিসিয়াল মেইল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যাতে কোনও রকম সংগঠন ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে না পারে। রীতিমতো যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর এই আদেশ যাতে সফল হয় তার জন্য তারা চরম লজ্জার সীমা ভাঙতেও পিছপা হয়নি। আমাদের খাবার পর্যন্ত দিতে বারন করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। আজ সকালে সামান্য চা এবং জুসের অর্ডার ক্যানসেল করে দেওয়া হয়, ফোন করে, অফিসিয়াল মেইল করে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমাদের কোণঠাসা করে দেওয়ার জন্য! এই ধরনের নিষ্ঠুরতা যে গণতন্ত্রের লজ্জাজনক খুন সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।"

আরও পড়ুন ‘দুম করে ঘুম থেকে উঠে সিপিএম হওয়া যায় না’, শতরূপের সঙ্গে ছবি নিয়ে অকপট রূপা

তিনি আরও লিখেছেন, "বিজেপি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত তবে আজ এই নোংরামি তাদের করতে হত না! ধিক্কার জানাই তাদের এই আচরণে, লজ্জা আমাদের মানুষ হিসেবে যে ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এইরকম স্বৈরাচার আমাদের এখনও দেখতে হয়! ছিঃ বিজেপি! ধিক্কার তোমার রাজনীতির নাম করে নোংরামি কে… ধিক্কার তোমাদের মানবিকতায়।" যদিও সায়নীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। যুব মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, কোনওরকম কর্মসূচিতে বাধাদান বা মেইল করে হোটেল কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়া হয়নি। এমনকী দল ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি বলেও দাবি করেছে বিজেপি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Saayoni Ghosh
Advertisment