বুধবার বেঙ্গালুরু থেকে আগরতলা পৌঁছল প্রথম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, বেঙ্গালুরুতে আটক ১,২০০ জন যাত্রী সমেত। তবে ত্রিপুরা সরকারের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে আটক ত্রিপুরাবাসীদের ঘরে ফেরাতে কোনোরকম সহযোগিতা করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
প্রায় দু'মাস বেঙ্গালুরুতে আটক থাকার পর অবশেষে যাঁরা ঘরে ফিরলেন, তাঁদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব যা লেখেন, তার মর্মার্থ, "আজ বেঙ্গালুরু থেকে আগরতলা পৌঁছল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, ফিরলেন বেঙ্গালুরুতে আটক ১,২০০ মানুষ। নিরাপদে রাজ্যে ফিরতে পেরেছেন তাঁরা, এতে আমি খুশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত তাঁদের যথাযথ স্ক্রিনিং চলছে। মা ত্রিপুরাসুন্দরীর আশীর্বাদে আটক সকলকেই শিগগিরই ফেরত নিয়ে আসা যাবে।"
আরও পড়ুন: এই পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে চান না
এর আগে রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে আটক ত্রিপুরার বাসিন্দাদের ফেরাতে কোনোরকম সহযোগিতা করছে না মমতার সরকার। মন্ত্রী বলেন, "আমাদের রাজ্যবাসীদের ঘরে ফেরাতে সমস্ত রাজ্যের সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি আমরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনোরকম সাহায্য করছে না। আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না।"
তিনি আরও বলেন যে ত্রিপুরার সনির্বন্ধ অনুরোধের ফলে কিছু যানবাহনের জন্য পাশ জারি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও আটক ৮,৬৩৪ জনের বদলে পাশ জারি করা হয় স্রেফ ১৬৪ জনের জন্য, বলেন নাথ। এঁদের মধ্যে ১৪১ জন ইতিমধ্যেই ঘরমুখো রওনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা ভয়- দুদিনের যাত্রাশেষে বাড়ি পৌঁছে ঠাঁই মিলল না, তাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটক ৩৯,৭৯৯ মানুষকে ফিরিয়ে আনার এক মস্ত উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা। এঁরা সকলেই রাজ্যের COVID-19 কন্ট্রোল রুম হেল্পলাইন-এর মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১২,৯০০ জন আসছেন কর্ণাটক থেকে, ৮,৭৭১ জন তামিলনাড়ু থেকে, ১,১৩২ জন তেলঙ্গানা থেকে, ২,৭২০ জন মহারাষ্ট্র থেকে, এবং ৫,৫০৩ আসাম থেকে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু জায়গা থেকেও ফিরছেন রাজ্যবাসীর একাংশ।
বুধবার প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবর্তনের পর পরবর্তী ট্রেন কর্ণাটক থেকে ছাড়ার কথা ১৫ মে। আজ, বৃহস্পতিবার, চেন্নাই থেকে ছাড়বে ত্রিপুরার ট্রেন, এবিং ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য মুম্বইয়ে একত্রিত করা হচ্ছে আরও অনেককে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন