দেশব্যাপী লকডাউন-এর সপ্তম দিনে এক অভিনব উদ্যোগ নিল ত্রিপুরা। সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিস্টান্সিং নিশ্চিত করতে রাজ্যের বড় বড় স্টেডিয়াম এবং মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একাধিক বাজার। বাজারহাটে ভিড় সামলানোর বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও ফল না পেয়ে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিম ত্রিপুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিহিরলাল দাস বলেন, মানুষ যাতে দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করেন, তা ন ইসচিত করতে রাজধানী আগরতলার চৌমুহানি বাজারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মাঠে। ওই আধিকারিক আরও বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি শহরের অন্য বড় বাজারগুলিকেও কোনও বিকল্প স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার।"
আগরতলার চৌমুহানি বাজার স্থানান্তরিত হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মাঠে
একাধিক বার বলা সত্ত্বেও গায়ে গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে মানুষের বাজার করার দৃশ্য চোখে পড়েছে ত্রিপুরার বৃহত্তম বাজার মহারাজগঞ্জে, বা আগরতলা শহরের অন্যান্য বাজার, যেমন বটতলা, চৌমুহানি, ইত্যাদি। সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল বাহিনী। কিছু ক্ষেত্রে জমায়েত ভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় পুলিশকে, বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ফের একবার রাজ্যবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন যেন তাঁরা বাড়ির বাইরে না বেরোন। টুইটারে তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় একজনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায় নি। রাজ্যে আপাতত কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন সাত হাজারের বেশি মানুষ, যাঁদের হয় সাম্প্রতিক কালে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে, অথবা যাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে।
এদিকে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় COVID-19 সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আগরতলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। অরুন্ধতী নগর থানার এক আধিকারিক জানান, বাধারঘাট থেকে গ্রেফতার হওয়া অভিষেক ধর নামে ওই ব্যক্তি "ত্রিপুরায় COVID-19 রোগীদের সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছিল", যার ফলে তাকে গ্রেফতার করে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।