গত চার মাস ধরে পলাতক ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্য সচিব যশপাল সিংকে সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করল ত্রিপুরা পুলিশের একটি বিশেষ দল। ত্রিপুরায় ২০০৮-০৯ সালে রূপায়িত পূর্ত দফতর অথবা পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লুডি) বিভিন্ন প্রকল্পে ৬৩৮.৪০ কোটি টাকার তছরুপের মামলায় জড়িত ছিলেন যশপাল সিং, এমনটাই অভিযোগ। রাজ্য পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, পলাতক প্রাক্তন আমলাকে গ্রেফতার করে বিচারের উদ্দেশ্যে ত্রিপুরায় নিয়ে আসার জন্য গঠিত হয় পুলিশের বিশেষ দল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ত্রিপুরার অ্যাডিশনাল ডিজি (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) পুনীত রাস্তোগি জানান যে সিংকে গাজিয়াবাদে খুঁজে পাওয়া যায়। "উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানকার আদালতে তোলার পর আমাদের সেখান থেকে হেফাজত ওয়ারেন্ট নিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া আপাতত চলছে," বলেন রাস্তোগি।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন প্রাক্তন ডাকসাইটে সিপিএম মন্ত্রী
এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর ত্রিপুরার প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে এই একই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের করা হয় পূর্ত দফতরের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং যশপাল সিংয়ের বিরুদ্ধেও। এই দুই আধিকারিকই বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ভৌমিক এবং চৌধুরীর বিরুদ্ধে তাঁদের গ্রেফতারির ৮৭ দিন পরেও ত্রিপুরা পুলিশ চার্জশিট জমা দিতে না পারায় জামিনে মুক্তি পান তাঁরা।
মোট চারবার ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন বাদল চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ অক্টোবর পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়। ছ'দিন নিখোঁজ থাকার পর তাঁকে আগরতলার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে পাওয়া যায়, এবং সেখানেই তিনি গ্রেফতার হন।
সুনীল ভৌমিক অথবা যশপাল সিং কেউই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনও কথা বলেন নি, কিন্তু বাদল চৌধুরী গোড়া থেকেই বলে আসছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকারও বলেছেন, চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলা 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' জনিত।