একদিকে প্রতিবেশী রাজ্য আসামে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে, যা উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহে সর্বোচ্চ, সে সময়ে ত্রিপুরায় অর্ধেকের বেশি করোনা রোগীকে রবিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। এঁদের সকলেরই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
রাজ্যের মোট ১৬৭ জন পজিটিভ রোগীর মধ্যে এখন আগরতলার গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছেন ৮০ জন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব টুইট করে জানিয়েছেন, “ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মোট ৮৫ জনকে। এঁদের মধ্যে গোমতী জেলার ১জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলার ১ জন ও ধলাই জেলার ৮৩ জন (বিএসএফ জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা) রয়েছেন। মোট সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮০। পরিযায়ী ২ জন।”
আরেকটি পৃথক টুইটে তিনি উল্লেখ করেছেন সরকার কোভিড পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর সবরকম চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন এই অতিমারী অতিক্রান্ত হবেই এবং মানুষকে নিরাপত্তার জন্য বাড়ির মধ্যে থাকতে হবে। টুইটে বিপ্লব দেব জানান, “ত্রিপুরায় আজ ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার সবই নেগেটিভ এসেছে। সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়াব। আমরা করব জয়। সকলে নিরাপদে থাকুন।”
ইতিমধ্যে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC)-র তিনজনের একটি দলকে আগরতলার ১০০ কিলোমিটার দূরের ধলাই বিএসএফ শিবিরে পাঠানো হয়েছে, কীভাবে সেখানে সংক্রমণ ছড়াল তা পরীক্ষা করার জন্য। এখানেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংক্রমিত ধরা পড়েছে।
NCDC-র দলটি প্রথমে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও কয়েকটি কোভিড হাসপাতাল ও কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করে। সদস্যরা জানিয়েছেন ত্রিপুরা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত সন্তোষজনক। রিপোর্ট অনুসারে করোনাভাইরাসের জন্য ৩৩৫৫ জনকে ত্রিপুরায় নজরে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৩৪ জনকে কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে ও ২১৩১ জনকে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।
সরকার ৮৫ জনের রোগমুক্তির কথা বললেও আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে চারজন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন এবং বাকিদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন মেনে ১০ দিনের মধ্যে আইসোলেশনে থাকাকালীন কোনওরকম উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় আইসোলেশন ও কোয়ারান্টিন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন