বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় হিংসার ঘটনার পাল্টা ত্রিপুরায়। বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমায় একটি মসজিদ এবং কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হল। দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয় মঙ্গলবার সন্ধেয়।
পানিসাগরের এসডিপিও সৌভিক দে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "পানিসাগরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জমায়েত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চামটিল্লা এলাকায় একটি মসজিদে ভাঙচুর করে। পরে তিনটি বাড়ি এবং তিনটি দোকানে তাণ্ডব চালায়। রোয়া বাজার এলাকায় দুটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।"
পুলিশ জানিয়েছে, মুসলিমদের ঘর-দোকান ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পুলিশ প্রহরা বাড়ানো হয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তাই জন্য পুলিশি টহলদারি চলছে এলাকায়।
বজরং দলের নেতা নারায়ণ দাস দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "ভিএইচপি একটি মিছিলের আয়োজন করে। পানিসাগর মোটরস্ট্যান্ডে সবাই জমায়েত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা শুরু করি আমরা। চামটিল্লা, রোয়া বাজার, জালেবাশা হয়ে আবার মোটরস্ট্যান্ডে ফিরে আসি। তখন একটি মসজিদের সামনে দেখি কয়েকটি ছেলে দাঁড়িয়ে আমাদের কটূক্তি করছেষ ওঁদের হাত দা ও অন্য অস্ত্র ছিল। ওঁরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছিল। উত্তেজনার বশে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে।"
আরও পড়ুন কুমিল্লার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল পুলিশের জালে, কক্সবাজার থেকে ধৃত যুবক
এদিকে, বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন এমন কোনও ঘটনার কথা তিনি শোনেননি। যদি হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সিপিএম নেতা পবিত্র কর বলেছেন, "এরকম ঘটনা বাংলাদেশের হিংসার পর থেকে ত্রিপুরায় হচ্ছে। এটা বিজেপিই করাচ্ছে। ত্রিপুরা সম্প্রীতি এবং সাম্প্রদায়িক শান্তির জন্য পরিচিত। রাজ্য সরকার সম্প্রীতি এবং শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করুক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন