রাজ্যে কোভিড-১৯ এর জন্য লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গের দায়ে ৪৭৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। অভিযোগ করা হয়েছে ৪১ জনের নামে।
করোনাভাইরাস লকডাউনের সময়ে তাদের কার্যাবলীর বিবরণ দিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব সেটি রিটুইট করেছেন এবং পুলিশকে তাদের কাজের জন্য সাধুবাদ দিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক এদিন আরও জানিয়েছেন লকডাউন বিধি ২৫ মার্চ কার্যকর হওয়ার পর থেকে মাস্ক না পরার জন্য মোট ৩৯০০ জনকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মাস্ক না পরার জন্য প্রথমবার ১০০ টাকা এবং পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য ২০০টাকা জরিমানা দিতে হবে।
করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানো আটকানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সোশাল মিডিয়ায় ১৮৮টি গুজব ছড়ানোর অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে পুলিশের টুইটে জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে বিভিন্ন তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ৭৯৭৩টি ফোন কলের জবাব দেওয়া হয়েছে, ১৯২ জন কালোবাজারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ২৮০০৮ জনকে হোম কোয়ারান্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১৮৭০ জন প্রবীণ নাগরিককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরায় এখন সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৪৭, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে আসামের পরেই তার অবস্থান। এর মধ্যে ১৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, একজনের কোভিড সংক্রমণের নিশ্চয়তার আগেই তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে।
৩১১৩৯ জনকে এখনও পর্যন্ত টেস্ট করা হয়েছে বলে সাম্প্রতিক রিপোর্ট। এর মধ্যে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
পুলিশের স্বেচ্ছাসেবকরা ৪১১৭৪টি মাস্ক বানিয়েছেন তাঁদের কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য, ৪৫৩৭৪ জনকে প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের সময়ে রান্না করে খাইয়েছেন এবং গোটা লকডাউন পর্যায় জুড়ে ১৫২৬৩ শুকনো রেশনের প্যাকেট বিলি করেছেন।
৪১৩টি অভ্যন্তরস্থ জায়গায় যেখানে পানীয় জল বন্ধ ছিল এবং লকডাউনের জন্য মেরামতির কাজ করা যাচ্ছিল না, সেথানে রাজ্য পুলিশ পানীয় জল সরবরাহ করেছে। ৪৪টি গ্রাম ও জনজাতি এলাকায় ওষুধও সরবরাহ করেছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আরও একবার হোম কোয়ারান্টিনে থাকাকালীন মানুষকে বেরোতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন গ্রামস্তরে করোনা মনিটরিং কমিটিগুলিকে অন্তত একটি করে কোয়ারান্টিন সেন্টার খুলতে বলেছেন। পরিবারের মানুষ ও প্রতিবেশীদের মধ্যে কোয়ারান্টিনে থাকা মানুষদের সম্পর্কে যে প্রতিরোধমূলক ভাবনা, তার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদন।