Advertisment

ত্রিপুরায় এনপিআর-এর তোড়জোড়, প্রক্রিয়া সফল হবে না, বলছেন বিরোধীরা

১৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা জনগণনা অধিকর্তা পি কে চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, জনগণনা প্রক্রিয়ার অধীনে এনপিআর-এর জন্য ত্রিপুরায় তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে ১৬ মে থেকে, চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ত্রিপুরায় সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ

রাষ্ট্রীয় জনপঞ্জি (ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর) শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ত্রিপুরা, তবে বিরোধী সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস যে এনপিআর-এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অস্বীকার করবেন রাজ্যবাসী। শাসকদল বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে যে যাঁরা এনপিআর-এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা "নোংরা রাজনীতি" করছেন, এবং রাজ্যের মানুষ সর্বতোভাবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সিপিআই(এম) নেতা তথা প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), এনপিআর, এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে তাঁর দল 'ডোর টু ডোর' প্রচার শুরু করেছে, যার ফলে ভালো সাড়াও পাওয়া গিয়েছে। "অনেক বিজেপি সমর্থকও আমাদের এই প্রচারের পক্ষে রয়েছেন। আমরা এই প্রচার চালিয়ে যাব," বলেন তিনি।

অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে এনপিআর এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি তাপস দে বলেন যে রাজ্য সরকার জনগণের ইচ্চার বিরুদ্ধে গিয়ে এনপিআর রূপায়িত করতে চাইছে। "যাঁদের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাঁদেরই ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এনপিআর সংশোধন করতে চাইছে সরকার। এই জনবিরোধী পদক্ষেপ মানুষ পরিত্যাগ করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আমরা প্রতিটি ব্লকে গিয়ে জনগণনা (সেনসাস) এবং জনপঞ্জি (এনপিআর)-এর তফাৎ বোঝানোর জন্য প্রচার করছি," বলেন তাপসবাবু।

তিনি আরও জানান যে এনপিআর-এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারবেন না ত্রিপুরার অধিকাংশ মানুষ, আদিবাসী হন বা অন্য কেউ, যেহেতু বহুবার বহু কারণে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে তাঁদের, যেমন ১৯৭১-এর ইন্দো-পাক যুদ্ধ, ১৯৮০-র জাতিগত দাঙ্গা, সশস্ত্র অভ্যুত্থান, ইত্যাদি।

বিজেপির মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিনহা এনপিআর সংক্রান্ত সমস্ত আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন যে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এবং এটির বিরোধিতা করার স্বার্থে "নোংরা রাজনীতি" চলছে। অশোকবাবুর কথায়, "এমন নয় যে প্রথমবার এনপিআর হচ্ছে। বিরোধীরা নোংরা রাজনীতি করছেন। এছাড়াও সিএএ-র বিরোধিতাও ভিত্তিহীন, কারণ পাসপোর্ট আইনে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যাগরিষ্ঠদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত না করার সংস্থান রয়েছে। তা যদি সাম্প্রদায়িক না হয়ে থাকে, তবে সেই একই সংস্থানগুলিতে কিছু সংযোজন করে সিএএ-তে রাখা হয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে কেন?"

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা জনগণনা অধিকর্তা পি কে চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, জনগণনা প্রক্রিয়ার অধীনে এনপিআর-এর জন্য ত্রিপুরায় তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে ১৬ মে থেকে, চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।

এবছর দুটি ধাপে সংগৃহীত হবে জনগণনার তথ্য। প্রথম ধাপে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে 'সাধারণ বাসিন্দাদের' চিহ্নিত করা, অর্থাৎ যাঁরা অন্তত ছ'মাস সেই বাড়িতে রয়েছেন, এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এটি হলো এনপিআর প্রক্রিয়া। দ্বিতীয় ধাপে আসবে জনসংখ্যার গণনা, যা সেনসাসের মূল উদ্দেশ্য, যা অনুষ্ঠিত হবে ২০২১-এর ৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment