Advertisment

ত্রিপুরায় লকডাউনের পর স্কুলে ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি, এগোচ্ছে বই বিলির কাজ

সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, তাঁর দফতর স্কুল শুরু করার ব্যাপারে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সর্বতোরকম চেষ্টা করছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
স্কুল কলেজে ছুটি বাড়াল রাজ্য সরকার-জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে সরব তৃণমূল-মাহেশে বন্ধ রথযাত্রা-বায়না পেল না কুমোরটুলি

প্রতীকী ছবি

ত্রিপুরার বিজেপি আইপিএফটি সরকার বিভিন্ন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ২৬.৮৮ লক্ষ পাঠ্যবই বিতরণ করেছে। লকডাউনের পর নিয়মিত ক্লাস শুরু করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ।

Advertisment

সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, তাঁর দফতর স্কুল শুরু করার ব্যাপারে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সর্বতোরকম চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ক্লাস শুরুর হওয়ার আগেই সমস্ত পাঠ্যমবই স্কুলগুলোতে পৌঁছনোর ব্যাপারে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। কিছু পাঠ্যবই করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির জন্য এখনও পৌঁছে দিতে পারিনি। আমরা সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এ মাসের গোড়ায় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন ১ জুন থেকে তাঁরা স্কুল খোলার ও ১৫ জুন থেকে ক্লাস শুরুর চেষ্টা করছে সরকার। তিনি আরও বলেন সমস্ত স্কুল যথাযথ ভাবে জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা চলছে, চেষ্টা চলছে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করার এবং ক্লাস শুরুর আগে ছাত্রছাত্রীদের রেজাল্ট বের করে দেওয়ার।

স্কুল শুরু করার ব্যাপারে শিক্ষা দফতরের প্রচেষ্টা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫,৩৭,১০৭ টি পাঠ্যবই বিতরণ করেছি। এ ছাড়া ক্লাস টেনের ১.৫১ লক্ষ পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে।

তবে ক্লাস টেনের নটির মধ্যে ৮টি বই এবং উচ্চমাধ্যমিকের ২৯টি বিষয়ের মধ্যে ১৫টি বই এসে পৌঁছলেও স্কুল ইনসপেক্টর বা প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী জানান যেসব বই এখনও প্রকাশিত হয়নি, সেগুলি দ্রুত প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

রতনলাল নাথ অন্য একটি প্রসঙ্গে জানান বেশ কিছু স্কুলে শিক্ষকের কমতি রয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াজ অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের আওতাধীন স্কুল সহ যে সব স্কুলে শিক্ষকের কমতি রয়েছে, সেখানে শিক্ষকদের বদলির কাজ শুরু হবে।

ত্রিপুরায় বর্তমানে ৩৩৫টি বেসরকারি স্কুল ছাড়া ৪৩৯৮টি সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে, যাতে প্রায় ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী রয়েছে।

tripura COVID-19
Advertisment