ছ'মাস লকডাউনে থাকার পর পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে দেবী দর্শন করতে ছুটেছিলেন সকলেই। আগরতলার একটি পুজো প্যান্ডেলের জনস্রোতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তড়িঘড়ি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন পুজোর আয়োজকদের পুজো বন্ধ করে সোমবারই প্রতিমা নিরঞ্জনের নির্দেশ দেন।
সোমবার জারি করা এক আদেশে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শৈলেশ কুমার যাদব বলেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে ক্লাব বা কমিউনিটি পূজা আয়োজকদের কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা আইন, ২০০৫ অনুসারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেই নিয়ম মেনেই আয়োজন করার কথা।
এমনকী এই নির্দেশ মোতাবেক হলফনামাও জমা দেয় আগরতলার এই ভারতরত্ন ক্লাব। সেখানে বলা হয়, "ভারতরত্ন সংঘের তরফে সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুত ধর চৌধুরি পুজো অনুমোদনের আবেদনের সঙ্গে একটি নোটারিয়াল হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা ক্লাব চত্বরে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জনের বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করতে দেবেন না। মানা হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়মও।" কিন্তু ২৪ অক্টোবর রাতে এই ক্লাবের প্যান্ডেলে সহস্রাধিক দর্শনার্থী সমাগম হয় যা কোভিড নিয়ম বিরুদ্ধ।
মঙ্গলবার সকালে ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস ডট কমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যাদব বলেন যে মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং করোনাভাইরাসকে নতুন করে প্রাদুর্ভাব রোধ করতে আদেশটি পাস করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, "১৪৪ ধারা এর অধীনে সাধারণ জনগণকে প্যান্ডেলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়ার বিধান রয়েছে। সুতরাং, জনজীবন ও আসন্ন বিপদ রোধ করতে আমরা এই আদেশ জারি করেছি। তবে এই ধারার আওতায় কোনও কারফিউ জারি করা হয়নি।"
ভারতরত্ন সংঘের সদস্যদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন