Advertisment

ত্রিপুরা-বিহার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে প্রসব

বিহারের কাটিহার জংশনের কাছে ট্রেনে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা যাত্রী। কর্তৃপক্ষ মা ও সন্তানকে পরীক্ষা করে জানাn, দুজনেই ভ্রমণের পক্ষে সুস্থ রয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shramik special childbirth

প্রতীকী ছবি

বিলাসপুর ও কানপুরের পর সোমবার আরেকজন পরিযায়ী মহিলা ত্রিপুরা থেকে বিহারগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে প্রসব করলেন। সোমবার গভীর রাতে মা ও সন্তান বিহারে পৌঁছন। সেখানে তাঁদের দায়িত্ব নেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisment

০৫৬২৩ নম্বর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনটি ১,৯৬২ জন যাত্রী নিয়ে জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে বিহারের খাগাড়িয়া জেলার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ত্রিপুরা সরকার। ওই ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছেন।

বিহারের কাটিহার জংশনের কাছে ট্রেনে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা যাত্রী। উত্তরপূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মা ও সন্তানকে পরীক্ষা করে জানান, দুজনেই ভ্রমণের পক্ষে সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের ওই ট্রেনে করেই গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় করোনা- আশার ছবি

নর্দার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে বিষয়টি নিয়ে টুইট করে জানিয়ে লিখেছে, ০৫৬২৩ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, যেটি জিরানিয়া থেকে খাগাড়িয়া যাচ্ছিল, সেই ট্রেনে চিকিৎসকদের সহায়তায় এক কন্যাসন্তান জন্মিয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ। রেলওয়ে সদ্যোজাতের সুখী ভবিষ্যৎ কামনা করছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, "১,৯৬২ জনকে নিয়ে ট্রেন যাত্রা শুরু করেছিল। মাঝে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১,৯৬৩ হয়ে য়ায়, কারণ একজন গর্ভবতী মহিলা ভ্রমণকালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।"

এনএফ রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস ডট কমকে জানান, মা ও শিশু দুজনেই যাত্রার পক্ষে 'ফিট', এবং তাঁরা ওই ট্রেনেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

বিহারের খাগাড়িয়ার জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, জেলা কর্তৃপক্ষ শিশু ও মায়ের জন্য রেল স্টেশনে সফট টাওয়েল, বেবি সোপ, মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

তিনি আরও জানান, "আমরা কিছু প্রাথমিক জিনিসপত্র ওঁদের দিয়েছিলাম। তবে ওঁরা আরও ৬০০ জনের সঙ্গে নওয়াদা রওনা হয়ে যান। আগে থেকেই নওয়াদা জেলা কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টা জানিয়ে রেখেছি।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment