কলকাতা শহরের এত কাছে চরের বসতি খুব একটা দেখা যায় না। তবে ডানলপ চরের বাসিন্দাদের জীবনযাপন একটু অন্যরকম। একপার থেকে আরেক পারে অর্থাৎ চরে যেতে হলে চিৎকার করে নৌকো ডাকতে হয়।
কলকাতা শহরের এত কাছে চরের বসতি খুব একটা দেখা যায় না। তবে ডানলপ চরের বাসিন্দাদের জীবনযাপন একটু অন্যরকম। একপার থেকে আরেক পারে অর্থাৎ চরে যেতে হলে চিৎকার করে নৌকো ডাকতে হয়।
মাঝ গঙ্গায় মাথা উঁচিয়ে রয়েছে চর, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘স্যান্ডব্যাঙ্ক’ (sandbank)। এই চরেই গড়ে উঠেছে নতুন জীবন-জীবিকা। কলকাতা থেকে গঙ্গা ধরে উত্তরে এগোলেই প্রথমে পড়বে বাঁশবেড়িয়ার ডানলপ চর। নদীর বুকে এরকম চড়া পড়ে গিয়ে বসতি গড়ে ওঠা নতুন ব্যপার নয়। চর যে নদীর সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়, তা বুঝলেও আপাতদৃষ্টিতে মানুষেরও কিছু করার নেই বলেই মনে হয়।
Advertisment
কলকাতা শহরের এত কাছে চরের বসতি খুব একটা দেখা যায় না। তবে ডানলপ চরের বাসিন্দাদের জীবনযাপন একটু অন্যরকম। একপার থেকে আরেক পারে অর্থাৎ চরে যেতে হলে চিৎকার করে নৌকো ডাকতে হয়। এখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমই হলো নৌকো। প্রতিটি পরিবারেরই একটি করে নৌকো আছে। এখানের ছেলে, মেয়ে, বুড়ো সকলেই নৌকো বাইতে জানেন। আর পাঁচটা ঘরের ছেলেমেয়ে যেখানে সাইকেল চালানো শিখে বড় হয়, সেখানে এই চরের খুদেরা শেখে নৌকো চালানো। বাজারহাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, সবই তো নদীর ওপারে।