অগ্রহায়ন মাসের শুরু। বাইরে হালকা শীতের আমেজ। রোদ্দুরের তাপ তেমন একটা গায়ে লাগে না। পুরন্দরপুর জোড়া মন্দিরের পাশ দিয়ে যে রাস্তা চলে যাচ্ছে তার ঠিক ডান পাশেই নীল রঙের মহাশ্মশান। সূর্যের আলো এসে পড়েছে শ্মশানের ঈশান কোণের ঘরটায়। পুরো শ্মশানে মানুষ বলতে একজন। তাও আবার মহিলা! ছোট ঘরটায় বসে ঘাড় গুঁজে লিখে যাচ্ছিল। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানেই থাকেন। পেশায় ডোম। মহিলা ডোম! শ্মশানে যেতেই যেখানে ভয়ে অনেকে শিউরে ওঠেন । সেখানে মৃতদের নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে দেহ সৎকার, চুল্লির কাজ সবই একা হাতেই সামলান এই তরুণী। তার পুরো নাম টুম্পা দাস। বয়স ২৯। শ্মশানের পাশেই তাঁর বাড়ি। গত দশ বছর ধরে বারুইপুরের পঞ্চায়েত এলাকা পুরন্দরপুর মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলে আসছেন।