শহরের পথেঘাটে, এমনকি নিজেদের বাড়িতেও, মহিলারা যাতে শারীরিক হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ। গত বছরের মে মাসে চালু হয় ‘তেজস্বিনী’, এবং মেলে অভূতপূর্ব সাড়া।
সত্যিই কি মাত্র পাঁচদিনে কিছু শেখানো যায়? বিশেষ করে আমার-আপনার মতো অতি সাধারণ মহিলা বা মেয়েদের, যাঁদের না আছে শারীরিক ফিটনেস বলতে কিছু, না নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস? সকাল আটটা থেকে দশটার মধ্যে এই কর্মশালায় হাজির হলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। শক্ত মাটির উপর শুয়ে বসে গড়াগড়ি খেয়ে, সারা গায়ে ধুলো মেখে, রীতিমত ঘেমে নেয়ে অনুশীলন করছেন সকলে, হাসিমুখে। পান থেকে চুন খসলেই জুটছে কৃষ্ণেন্দুবাবু বা তাঁর পুরুষ ও মহিলা সহকারীদের কড়া তিরস্কার, কিন্তু একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে ফের প্রথম থেকে শুরু করছেন সবাই।
শহরের পথেঘাটে, এমনকি নিজেদের বাড়িতেও, মহিলারা যাতে শারীরিক হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ। গত বছরের মে মাসে চালু হয় ‘তেজস্বিনী’, এবং মেলে অভূতপূর্ব সাড়া। তার ভিত্তিতেই ফের একবার ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর ‘কমিউনিটি পুলিশ’ শাখার দায়িত্বে আয়োজিত হয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মশালা, যেখানে একেবারে বিনামূল্যে ১২ থেকে ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেবেন কলকাতা পুলিশের অভিজ্ঞ ট্রেনাররা।