New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/cats-293.jpg)
কথিত আছে, ‘মৃত্যু দ্বীপ’টি এক সময় তার সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত ছিল।
পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যার রহস্য হাজার হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও সমাধান হয়নি। এমনই একটি দ্বীপ রয়েছে পৃথিবীর বুকে। কথিত আছে যেখানে পা দিলে মানুষ জীবন্ত অবস্থায় ফেরৎ আসেনা। এমনও কাহিনী সেই দ্বীপকে নিয়ে আবর্তিত হয় যে দ্বীপে যাওয়া কোন মানুষই আজ পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় ফিরে আসে না। ইতালির এই দ্বীপের নাম পোভেগ্লিয়া দ্বীপ। একে ‘মৃত্যু দ্বীপ’ও বলা হয়। এই 'মৃত্যু দ্বীপ' নিয়ে নানান অলৌকিক কাহিনী আজও শোনা যায় মানুষের মধ্যে।
কথিত আছে, ‘মৃত্যু দ্বীপ’টি এক সময় তার সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত ছিল। যদিও আজ এই দ্বীপটি ‘জনশূন্য’। বহু বছর আগে ইতালিতে ভয়াবহ প্লেগের দাপট দেখা দেয়। রোগে মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মহামারীর কবলে পড়েন। ইতালীয় সরকার এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এ সময় ইতালি সরকার প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার রোগীকে এই দ্বীপে নিয়ে এসে জীবন্ত দগ্ধ করেন। এরপর ‘ব্ল্যাক ফিভার’ নামে আরেকটি রোগ ছড়িয়ে পড়ে ইতালিতে। এই রোগেও প্রচুর সংখ্যাও মানুষ প্রাণ হারান। কথিত আছে সেই সব মৃতদেহও এই দ্বীপে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
তারপর থেকে এই দ্বীপের আশেপাশের মানুষজন দ্বীপে ‘অদ্ভুত শব্দ’ শুনতে শুরু করেন। এখানকার লোকেরা দ্বীপে ‘আত্মার’ উপস্থিতি বুঝতে পারেন এবং লোকেরা এই দ্বীপে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এই দ্বীপটি ইতালীয় শহর ভেনিস এবং লিডোর মধ্যে ভেনিস উপসাগরে অবস্থিত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দ্বীপে যেই যায় সে আর জীবিত ফিরে আসে না।
একসময় ইতালীয় সরকার এই দ্বীপে একটি হাসপাতালও নির্মাণ করে এখানে মানুষের যাতায়াত বাড়াতে চেয়েছিল। তবে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা ‘আত্মা’র উপস্থিতি অনুভব করতে শুরু করেন। চিকিৎসকরা জানান, ‘মৃত্যু দ্বীপে’ তারা অনেক অস্বাভাবিক জিনিস দেখতে পান। এমনকি রোগীদের আত্মীয়স্বজনরাও বহুবার ‘আত্মা’র উপস্থিতির কথা জানান। এরপর সরকারকে দ্রুত হাসপাতাল বন্ধ করতে হয়। এরপর ১৯৬০ সালে ইতালীয় সরকারের কাছ থেকে এক ধনী ব্যক্তি এই দ্বীপ কিনে নেন। শোনা যায়, এরপরই তাঁর পরিবারে ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।