শতবর্ষ পেরিয়েছেন আগেই। এবার করোনা জয় করে নতুনভাবে জীবন শুরু করলেন ১০৩ বছরের জেনি স্টেজনা। যা দেখে ধন্য ধন্য করছেন করোনা যুদ্ধে সামিল হওয়া চিকিৎসকরা।
ম্যাসাচুয়েটস-এর উইলব্রাহামের লাইফ কেয়ার সেন্টারের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েন অশীতিপর বৃদ্ধা। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহজেই কাবু করে ফেলে মারণ এই ভাইরাস। একথা এতদিনে বিশ্ব জেনে গিয়েছে। তবে সেই নিয়মেরও যে ব্যতিক্রম রয়েছে, তা প্রমাণ করলেন জেনি স্টেজনা।
প্রথমে উপসর্গ দেখেই পরীক্ষা করে ধরা পরে করোনা আক্রান্ত সেই বৃদ্ধা। তারপরেই শুরু হয় ভয়াবহ সেই কষ্ট। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পরিবারের সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, বিদায় জানাতে হতে পারে জেনিকে। নাতনি শেলী গান, তাঁর স্বামী এডাম, ৪ বছর বয়সী কন্যা ভায়োলেট মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছিলেন পরিবারের বয়স্কাতমকে হারানোর বিষয়ে। একদিন তো নাতনি শেলী ঠাকুমাকে জানিয়েই দিলেন, 'যা করেছ তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।'
এডাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "আপনি কি স্বর্গে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত?" বৃদ্ধার জবাব ছিল, "নরকে, অবশ্যই।"
তবে এরপরেই চমক। ১৩ মে নাতনি শেলী গানকে জানানো হয় ঠাকুমা করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। চিকিৎসকদের এরপরেই ধন্যবাদ জানান তিনি।
নিজের পুনর্জীবন স্মরণীয় করে রাখতে সেঞ্চুরি হাঁকানো স্টেনজা চিলড বিয়ার পান করেন। এমনিতেই তিনি বিয়ার পান করতে পছন্দ করেন। তবে অসুস্থতার কারণে বিয়ার পান করতে পারেননি। তাই সেলিব্রেট করতে বিয়ারই বাছলেন স্টেনজা।
আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাতনি শেলী জানাচ্ছেন, "ঠাকুমা বরাবরই দারুন ফাইটার। কোনো অবস্থাতেই উনি হার মানেননি।"
দুই সন্তান, তিন নাতি/নাতনি, তাদেরও আবার চার সন্তান এবং আরো গ্রেট গ্রেট গ্রানচিলড্রেন নিয়ে ভরা সংসার স্টেনজার। আপাতত মস্যাচুয়েটস এ স্টেনজাকে নিয়েই হুল্লোড় মার্কিনিদের।