মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জন্য একটি দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতা, তবে মা হওয়া চ্যালেঞ্জিংও। গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার নানারকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি একটি সন্তানের জন্মের পরে, মায়ের দায়িত্ব বেড়ে যায় বহুগুণে। যার কারণে আজ অনেক মহিলা’ই মা হওয়ার আগে সেরে রাখেন আগামীর নানান প্ল্যানিং।
সাধারণত আজকাল একটি বা দুটি সন্তানের বেশি সন্তান নিতে শোনা যায় না কোন দম্পতিকে। তবে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা আপনাকে অবাক করে দিতে বাধ্য। আপনি জানেন যে, মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, তবে এটি চ্যালেঞ্জিংও বটে। গর্ভাবস্থায় অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। একটি সন্তানের জন্মের পরে, মায়ের দায়িত্ব বেড়ে যায়, যার কারণে আজ অনেক মহিলা শুধুমাত্র একটিমাত্র সন্তান নেওয়াকে শ্রেষ্ঠ বলেই মনে করেন। তবে ২৬ বছর বয়সী রাশিয়ান মহিলা ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক এই নিয়মের বিপরীত দিকেই হেঁটেছেন। একটি বা দুটি নয়। মাত্র ২৬ বছরেই তরুণীর রয়েছে ২২ সন্তান। আর এই কাহিনী চমকে দিয়েছে সককেই।
ক্রিস্টিনার বয়স মাত্র ২৬। জর্জিয়ার ওজতুর্ক শহরে থাকেন তিনি। লক্ষ্য সেঞ্চুরি পার করার। তিনি পরিকল্পনা করেছেন যে ভবিষ্যতে তিনি মোট ১০০ সন্তানকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকবেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন যে মাত্র ২৬ বছর বয়সী একটি মেয়ের পক্ষে ২৬টি সন্তানের জন্ম দেওয়া, কীভাবে সম্ভব? তথ্য অনুযায়ী, ক্রিস্টিনার সব থেকে বড় মেয়ের ৮ বছর বয়স। পরবর্তীতে সারোগেসির মাধ্যমে ২১ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। যার মধ্যে ২০টি শিশু ২০২০ সালে জন্মগ্রহণ করে। ক্রিস্টিনা তার প্রতিটি সন্তানকে খুব ভালোবাসেন।
২০২১ সালে, পরিবার তাদের কনিষ্ঠ কন্যা অলিভিয়াকে স্বাগত জানায়। ক্রিস্টিনা তার কোটিপতি স্বামীর কাছে আবদার করেছেন ১০০টি সন্তানের। দ্য সান'স ফ্যাবুলাস ম্যাগাজিনের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি জানিয়েছেন যে মার্চ ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ এর মধ্যে, তিনি সারোগেসিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করেছে। এক সময় তাঁর বাড়িতে ১৬ জন মহিলা একসঙ্গে কাজ করতেন, যাদের মোট বেতন ছিল ৬৮ লাখ টাকার বেশি।