ক্লাসের পরীক্ষায় ফেল করা রুক্মিণী, প্রথম চেষ্টাতেই আইএএস হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন। UPSC-তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেশের সামনে তুলে ধরেছেন এই তরুণী। তার এই সাফল্য হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণা। UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষারথী UPAC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন। তবে তার মধ্যে থেকে হাতে গোনা কয়েকজনই পান চূড়ান্ত সাফল্য। তাদের মধ্যে আবার অনেকের কাহিনী অনুপ্রেরণা জোগায় লাখো মানুষকে।
জীবনের এই কঠিন পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য, পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করেই UPSC পরীক্ষায় দারুণ রেজাল্ট করে সকলকে চমকে দেন রুক্মিণী রিয়ার। এমনই এক আইএএস অফিসারের সাফল্যের গল্প অনুপ্রাণিত করেছে হাজার হাজার পরীক্ষার্থীকে।
পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ১৯৮৭ সালে জন্ম রুক্মিণী রিয়ারের। স্কুলে পড়ার তিনি মাঝারি মানের ছাত্রী ছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে একবার ফেলও করেন তিনি। স্কুল শেষে পরে, তিনি অমৃতসরের গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) থেকে পিজি ডিগ্রি অর্জন করেন।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস থেকে স্নাতকোত্তর করার পরে, রুক্মিণী মহীশূরে একটি এনজিওতে তাঁর ইন্টার্নশিপ শুরু করেন। একটি এনজিওতে কাজ করার সময়, তিনি সিভিল সার্ভিসের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং UPSC পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১১ প্রথমবার UPSC পরীক্ষা দিয়েছিলেন রুক্মিণী রিয়ার। তিনি শুধুমাত্র প্রথম প্রচেষ্টায় নির্বাচিত হননি কিন্তু তিনি সর্বভারতীয় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন । UPSC প্রস্তুতির জন্য কোনো কোচিং নেন নি তিনি। রুক্মিণী রিয়ার বলেছেন যে তিনি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশের বইয়ের উপর নির্ভর করেই এই কঠিন পরীক্ষায় বাজিমাত করেন। পাশাপাশি তিনি নিয়মিত পত্র-পত্রিকাও পড়তেন।